—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তৃতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত কলকাতার রাস্তায় সমস্ত সুলভ শৌচালয় দিনরাত খোলা থাকবে। বেআইনি পার্কিং নিয়েও চলবে কড়া নজরদারি। মহালয়া থেকে রাত ৩টে থেকে মিলবে জল। পুজোর আগে শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও রাজ্য সরকারের সব দফতরের কর্তারা। বৈঠকে পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে একাধিক পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য রাখা হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।
সূত্রের খবর, পুজোর সময় কলকাতা যাতে সচল থাকে, দর্শনার্থীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সে কারণে শুক্রবার পুরসভায় এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে ফিরহাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সব দফতরের কর্তা, বরোগুলির চেয়ারম্যান, মেয়র পারিষদেরা। পুজোয় মণ্ডপগুলিতে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকে, সে কারণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসির কর্তারাও। পুজোর সময় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ কর্তাদেরও ডাকা হয় বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন দমকলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। মণ্ডপগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, তার রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বৈঠকের পর মেয়র পারিষদ (পরিবেশ বিভাগ) স্বপন সমাদ্দার জানান, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে পুজোর সময় এক সপ্তাহ ধরে রাত ৩টে থেকে দেওয়া হবে জল। দর্শনার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয়, তাই শহরের সব ‘পে অ্যান্ড ইউজ টয়লেট’ ৫ অক্টোবর, তৃতীয়া থেকে ১২ অক্টোবর, দশমী পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। আরও ৪০০ বায়োটয়লেটের ব্যবস্থাও থাকবে শহরে। সূত্রের খবর, বৈঠকে অবৈধ পার্কিংয়ের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে। অভিযোগ, পুজো মণ্ডপের আশপাশে অনেকে বেআইনি ভাবে গাড়ি পার্কিং করিয়ে টাকা আদায় করেন। এই বেআইনি পার্কিং বন্ধ করার জন্য ডিজি ট্র্যাফিককে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক দেবাশিস কুমার। স্কুলের সামনেও বেআইনি পার্কিং নিষিদ্ধ করতে বলেছেন তিনি। পুজোর সময় শহরের কিছু অংশে অসামাজিক কাজ চলে বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি পুলিশের নজরে এনেছেন স্বপন সমাদ্দার। পুজোর আগে কিছু কিছু রাস্তার মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ রতনবাবুর ঘাট মেরামতির আবেদন জানিয়েছেন। সেখানে প্রায় ১,২০০ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। পুজোর আগে ওই ঘাট দ্রুত মেরামতির আবেদন জানিয়েছেন তিনি।