একটি ট্রলিতে উদ্ধার করা হচ্ছে তিন রোগীকে। ছবি: পিটিআই
শ্বাসকষ্ট নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন খানাকুলের বাসিন্দা সইদুল ইসলাম মল্লিক (৭৫)। বুধবার সকালে ভয়াবহ আগুনে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে মৃত্যু হল তাঁর। হাসপাতালের দাবি, সইদুলের স্বাভাবিক মৃত্যুই হয়েছে।
মৃতের বড় ছেলে মইদুল ইসলাম মল্লিকের অভিযোগ, আগুন লাগার পরে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিশেষ তৎপরতা ছিল না। গুটি কয়েক স্ট্রেচার নিয়ে ঢিমেতালে রোগীদের নামানো হচ্ছিল। ‘‘ওয়ার্ডেই পুড়ে মরতে হবে ভেবে বাধ্য হয়ে বাবাকে হাঁটিয়ে নামিয়ে আনছিলাম। হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে গিয়ে ওঁর শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে অক্সিজেন দেওয়ার হয়। সকাল ১০টা নাগাদ বাবা মারা যান,’’ বলেন মইদুল।
শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ে মাসখানেক আগে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সইদুল। ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। তিনি এমসিএইচ বিল্ডিংয়ের দোতলায় ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওই রোগী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল ছিল না। আগুন লাগার পরে তাঁকে দ্রুত জরুরি বিভাগে এনে ভর্তি করা হয়েছিল। এটা অস্বাভাবিক মৃত্যু নয়।’’ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সইদুলের দুই ছেলে কর্মসূত্রে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাছাকাছি থাকেন। দু’জনেই প্লাইউডের কাজ করেন।