নাম ব্যবহার করায় ক্ষুব্ধ মেয়র

মেয়রের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, কাউন্সিলরের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ শোভনবাবু। তাঁর দফতর থেকে ১১ নম্বর বরো চেয়ারম্যানের কাছে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের এই আচরণের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২২
Share:

শোভন চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

নিষেধাজ্ঞা না মানায় এ বার দলীয় কাউন্সিলরের কাছে লিখিত জবাব চাইলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

কোনও বেসরকারি অনুষ্ঠানে মেয়রের নাম বা ছবির যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে ইতিমধ্যেই ‘নিষেধা়জ্ঞা’ জারি করেছে তাঁর দফতর। বলা হয়েছে, মেয়রের লিখিত সম্মতি ছাড়া এ কাজ করতে পারবেন না কোনও কাউন্সিলরই। তার পরেও মেয়রকে না জানিয়েই একটি বেসরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে চেয়ারম্যান করেছেন ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী।

মেয়রের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রের খবর, কাউন্সিলরের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ শোভনবাবু। তাঁর দফতর থেকে ১১ নম্বর বরো চেয়ারম্যানের কাছে নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের এই আচরণের লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ওই উৎসবের আমন্ত্রণপত্র ও ব্যানারে মেয়রের নাম চেয়ারম্যান হিসাবে ব্যবহার করেছেন তারকেশ্বরবাবু। ৯ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার থেকে গড়ফা প্রতাপগড়ে অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা।

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, জবাবদিহির লিখিত কোনও চিঠি যাতে না পৌঁছয়, তার চেষ্টা করেছিলেন তারকেশ্বরবাবু। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই ই-মেল মারফত তাঁর থেকে কৈফিয়ত চেয়েছে মেয়রের দফতর। বুধবার তার প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে। চিঠির কথা স্বীকার করেছেন তারকেশ্বরবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘ভুল হয়েছে। তা স্বীকার করেই বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি সব কাউন্সিলরকে ই-মেল করে মেয়রের দফতর থেকে জানানো হয়, মেয়রের লিখিত সম্মতি ছাড়া কোনও বেসরকারি অনুষ্ঠানে তাঁর নাম বা ছবি ব্যবহার করা যাবে না। তারকেশ্বরবাবুর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, নির্দেশিকা হাতে আসার আগেই এ সব তৈরি হয়েছিল। তাই এই বিপত্তি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement