ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা শহরে দূষণের মাত্রা কমেছে বলে দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মঙ্গলবার নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে বিশদে তার কারণ ব্যাখ্যাও করেছেন। ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমরা কলকাতায় বহু চেষ্টার পরে পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে প্রমাণ করলাম যে, বাতাসের গুণগত মান উন্নত করা যায়। দেশের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলির মধ্যে কলকাতা ছিল। আমরা চেষ্টা করছিলাম যে, কী ভাবে শহরের বায়ুদূষণের পরিমাণ কমানো যায়। ১৩১টি দূষিত শহরের মধ্যে প্রথম ২০তে কলকাতা ছিল। আমি বোস ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। তাঁর পরামর্শ মেনে এগিয়ে আমরা সাফল্য পেয়েছি।’’
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, অধ্যাপক অভিজিতের পরামর্শেই কলকাতা পুরসভার কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজে পদ্ধতিগত বদল আনা হয়েছে। দূষণ উৎপাদক যানবাহনগুলিকে পুরসভার কাজকর্ম থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। সঙ্গে ১৫ বছরের পুরনো সমস্ত গাড়ি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। বদলে বৈদ্যুতিন গাড়ির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি, কলকাতায় দূষণ বৃদ্ধিকারী শিল্পের উপর পুরসভার তরফে নজরজদারি বাড়ানো হয়েছে। মেয়র বলেন, ‘‘ভারত সরকারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরসভা কলকাতাকে দেওয়া লক্ষ্যের ৭৫ শতাংশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যান্য অনেক দূষিত মেট্রো শহর কেএমসি যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে, তার ২৫ শতাংশও অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে! ফলে কলকাতা শহরের বায়ু ৪০ শতাংশ উন্নত করা সম্ভব হয়েছে।’’ ২০২১ সাল থেকে কলকাতা পুরসভা এলাকাকে দূষণমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ফিরহাদের কথায়, ‘‘সারা ভারতের মধ্যে কলকাতা শহর তৃতীয় দূষণমুক্ত শহর হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আগামী দিনে দূষণ দূর করতে কলকাতাবাসীর সমর্থন আমরা চাইছি।’’