প্রভাব খাটানোর অভিযোগ মেয়রকে

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় ঘটনাটি জানা মাত্রই অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

ফিরহাদ হাকিম।

টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে বুধবার প্রভাবশালীর দাপটের অভিযোগ শুনতে হল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে।

Advertisement

এ দিন অভিযোগ এল খাস দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাট সংলগ্ন ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। অভিযোগকারী স্থানীয় নেপাল ভট্টাচার্য ফার্স্ট লেনের এক বাসিন্দা। মেয়রকে বললেন, ‘‘আমার বাড়ির পাশের জায়গায় একটি নির্মাণ হচ্ছে। যা হলে আমাদের জায়গা দখল হয়ে যাবে। তা সত্ত্বেও কী ভাবে সেখানে বাড়ি হচ্ছে বুঝতে পারছি না। শুনছি পুরসভার অনুমোদনও মিলেছে। নির্মাণকারী অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর পাশে রয়েছে থানাও।’’ মেয়রের কাছে তাঁর কাতর আবেদন ‘‘একটু দেখুন।’’ মেয়র তাঁকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘এখানে কোনও প্রভাবশালী-অপ্রভাবশালীর জায়গা নেই। যত দিন চেয়ারে থাকব, কোনও প্রভাবশালীর প্রভাব চলবে না।’’ পরে তিনি পুরসভার বিল্ডিং দফতরকে নির্দেশ দেন বৃহস্পতিবারই ওই ঠিকানায় লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় ঘটনাটি জানা মাত্রই অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলেন। যদিও পুরসভা সূত্রে সন্ধ্যায় জানা গিয়েছে, যে জমিতে ওই বাড়ি হচ্ছে সেটি রাজ্যেরই এক মন্ত্রীর।

Advertisement

বেহালার সরকার হাট লেনের বাসিন্দা স্বপন মুখোপাধ্যায় এ দিন টেলিফোনে মেয়রকে জানান, এক বছর ধরে খারাপ রাস্তায় শুধু ইট ফেলে রাখা হয়েছে। মেরামতির কাজ আর এগোয়নি। তাতে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাঁর অভিযোগ, ‘‘১২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও কিছু করছেন না। সম্প্রতি দিদিকে বলো-য় জানানো হয়েছে।’’ তা শুনে মেয়র বলেন, ‘‘আগামিকালই ইঞ্জিনিয়ার যাবেন।’’ পরে ওই কাজ কেন হয়নি তার কৈফিয়ত তলব করেন কেইআইআইপি-র কাছে। মেয়র বলেন, ‘‘এক বছর ধরে ইট পাতা রয়েছে, মজা দেখা হচ্ছে নাকি?’’ ওই সমস্যা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement