চলছে নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান । শুক্রবার, কলকাতা পুরসভায়। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি করে দায়বদ্ধ থাকতে হবে কাউন্সিলরদের। মানুষ ডাকলেই যাতে কাউন্সিলরেরা সাড়া দেন, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে তাঁদের। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের সভাকক্ষে নব নির্বাচিত কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে এমনই মন্তব্য করেছেন কলকাতার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন কাউন্সিলর হিসাবে ফিরহাদ নিজেও শপথ নেন। শপথবাক্য পাঠ করান পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব খলিল আহমেদ।
মোট ১২৫ জন কাউন্সিলর এ দিন শপথ নিয়েছেন। বাকিরা আগামী সোমবার শপথ নেবেন। এ দিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অবশ্য ছিলেন না সিপিএম ও বিজেপির কাউন্সিলরেরা। শপথ নেওয়ার পরে ভাবী মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারকে পাশে বসিয়ে ভাবী মেয়র ফিরহাদ সাংবাদিকদের জানান, এ বারের পুরবোর্ডে অনেক নতুন কাউন্সিলর থাকছেন। পুরসভার কাজ কী ভাবে সামলাতে হয়, সে বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আগামী মঙ্গলবার মেয়র ও মেয়র পারিষদদের শপথগ্রহণের পরে সেই প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। নতুন কাউন্সিলরদের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষদের মতো অভিজ্ঞ মেয়র পারিষদেরা।
এ দিন ফিরহাদ জানান, আগামী মঙ্গলবার মেয়র হিসাবে শপথ নেওয়ার পরেই মেয়র পারিষদদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেই বৈঠকে পুরসভার কাজের ব্যাপারে ‘ভিশন অব কলকাতা’ স্থির করা হবে। ফিরহাদ জানান, তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, দশ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে বর্তমান পুরবোর্ড দায়বদ্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আগামী ছ’মাসের রিপোর্ট কার্ড তৈরির জন্য কাজের রূপরেখা তৈরি করা হবে। ছ’মাস শেষে কোন কাজটা হল, কোন কাজটা হল না, সে বিষয়ে জানানো হবে।’’
তবে পরিষেবার মানোন্নয়ন এবং পুরসভার কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সবার আগে যে কাউন্সিলরদের ‘সৎ ও কর্মঠ’ হতে হবে, সে কথা বার বারই মনে করিয়ে দেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ‘‘পাড়ার যে যুবক সাধারণ মানুষের জন্য শ্মশানে ছুটে যান অথবা ভোটার ও রেশন কার্ড তৈরিতে পাশে দাঁড়ান, কাউন্সিলরদেরও তাঁর মতো করেই ছুটে যেতে হব। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালে তবেই কাউন্সিলরেরা আবার জিতে ফিরবেন।’’