আগুন লাগল ইএম বাইপাসের ধারে চৌবাগা এলাকার একটি জুতো কারখানায়। ছবি:দীক্ষা ভুঁইয়া।
সকালে কারখানার কাজ সবেমাত্র শুরু হয়েছে। এমন সময় শোরগোল ওঠে ‘আগুন আগুন’ বলে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা কারখানা। হন্তদন্ত হয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন কর্মীরা। খবর যায় দমকলে। তত ক্ষণে আগুন বিরাট আকার নিয়েছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। দমকলের দশটি ইঞ্জিনের চেষ্টায় প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গোটা কারখানা ছাই হয়ে গিয়েছে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকালে এমনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ইএম বাইপাস লাগোয়া পশ্চিম চৌবাগার একটি জুতো তৈরির কারখানায়। তৃণমূল ভবনের পিছনের দিকে রয়েছে কারখানাটি। কারখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন লাগে কারখানায়।
আরও পড়ুন:
কালি-কাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেতা-সহ ৯
থানায় এনে অভিযুক্তকে জেরার সময়ে রাখতে হবে ক্যামেরা
প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন বাগে আনার চেষ্টা করে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকায় পরে পৌঁছয় বাকি ইঞ্জিনগুলি। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, কারখানায় প্রচুর পরিমাণ দাহ্য বস্তু মজুত ছিল। তাই আগুন বিরাট আকার নেয়। তবে কারখানার কর্মীদের অভিযোগ, খবর দেওয়ার অন্তত ঘণ্টা দুই পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকল। তাই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দমকল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সকাল থেকেই কারখানার ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। বেলা যত বাড়তে থাকে আগুন বিরাট আকার ধারণ করে। ওই কারখানার পাশে জনবসতি এবং অন্যান্য কারখানা রয়েছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় এলাকাবাসীদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অগ্নি নির্বাপণের কোনও ব্যবস্থাই ছিল না সেখানে। কারখানার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে।