প্রতীকী ছবি।
রাতের শহরে ‘মত্ত’ যুবকদের হাতে এক ব্যবসায়ী দম্পতি ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। এমনকি রাস্তার ধার থেকে সিমেন্টের স্ল্যাব তুলে ওই যুবকেরা তাঁদের গাড়িতে ছোড়ে বলেও অভিযোগ করেছেন দম্পতি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকায় হালতুর কাছে।
রবিবার ওই দম্পতি অভিযোগে জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১০০ নম্বরে ডায়াল করলে পুলিশ পৌঁছয় প্রায় মিনিট কুড়ি পরে। দম্পতির কথায়, ‘‘পুলিশের জন্য অপেক্ষা করলে বাঁচতাম কি না জানি না। কোনও রকমে গাড়িতে উঠে ওই জায়গা ছেড়ে পালাই।’’
কী হয়েছিল ওই রাতে? গড়িয়াহাটের ব্যবসায়ী যুবক জানান, শনিবার রাতে স্ত্রী এবং বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়েছিলেন খাবার কিনতে। খাবার কেনার পরে গাড়ি নিয়ে শরৎ ঘোষ গার্ডেন রোডের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, তখনই পিছন থেকে একটি গাড়ি বেপরোয়া গতিতে এসে বারবার হর্ন দিচ্ছিল। যুবক জানান, রাস্তা সরু ছিল বলে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে তিনি গাড়িটি দাঁড় করান। এর পরেই পিছনের গাড়িটি পাশ কাটিয়ে তাঁদের গাড়ির সামনে আড়াআড়ি ভাবে দাঁড় করায়। চালকের আসন থেকে নেমে আসে এক যুবক।
অভিযোগ, গাড়ির কাচ নামাতেই ওই যুবক গালিগালাজ করে জানতে চায় কেন তাদের গাড়িকে এগিয়ে যেতে জায়গা দেওয়া হয়নি। দু’পক্ষের কথা কাটাকাটির মধ্যেই আরও কয়েক জন গাড়ি থেকে নেমে আসে। গাড়ির দরজা খুলে অভিযোগকারীর বন্ধুকে মারধর শুরু করে তারা। এমনকি গলাও টিপে ধরে বলে অভিযোগ। বন্ধুকে বাঁচাতে অভিযোগকারী সস্ত্রীক এগিয়ে গেলে তাঁদেরও ওই যুবকেরা মারধর করে বলে দাবি।
ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীকে মারধরের পরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় দুই যুবক। এমনকি স্ত্রীর গলা থেকে সোনার চেন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। লোকালয়ের মধ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় চেঁচামেচি শুনেও আশপাশের বাড়ি থেকে কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি বলে জানান ওই দম্পতি। শেষে ব্যবসায়ীর স্ত্রী ১০০ নম্বরে ডায়াল করে বিষয়টি জানান। তার পরেও নিজেদের স্থানীয় ছেলে বলে দাবি করে যুবকেরা হুমকি দিয়ে বলতে থাকে, পুলিশ এসেও তাদের কিছু করতে পারবে না।
স্ত্রী এবং বন্ধুকে নিয়ে গাড়িতে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করলে হামলাকারীরা রাস্তায় পড়ে থাকা স্ল্যাব তুলে তাঁদের গাড়িতে ছোড়ে বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ী। কোনওক্রমে গাড়ি নিয়ে এলাকা ছাড়লে যুবকেরাও পালায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করলে প্রায় ২০ মিনিট পরে পৌঁছয় কসবা থানার পুলিশ। অভিযুক্তেরা অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।