মুখে আবরণ: সংক্রমণে রাশ টানতে বন্ধ দোকানপাট। সেখানেই সাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে চলছে মাস্ক বিক্রি। মঙ্গলবার, নাগেরবাজারে।
দমদম পুর এলাকার সমস্ত বাজার, দোকান, শপিং মল, রেস্তরাঁ এ বার থেকে সোম এবং বৃহস্পতিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ওষুধ, দুধ এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবা বিধিনিষেধের বাইরে থাকবে। মঙ্গলবার দমদম টাউন হলে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সব প্রতিনিধি এবং পুলিশকে নিয়ে বৈঠকে বসেন দমদম পুর কর্তৃপক্ষ। সেখানেই ওই সিদ্ধান্ত হয়। সংক্রমণ রুখতে কাল, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে মধ্যমগ্রাম পুর এলাকাতেও।
দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, জানুয়ারির ১ থেকে ৭ তারিখ পর্যন্ত সেখানে ১৩৭ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সোমবার ২২ জন নতুন করে সংক্রমিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। পুরসভার মুখ্য প্রশাসক হরিন্দর সিংহ জানান, চলতি সপ্তাহ থেকেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। বিধিভঙ্গ হলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
অন্য দিকে, সংক্রমণ রুখতে সোমবার বাজারগুলির সমিতি ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। তার পরেই বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত। পুর প্রশাসক নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, তিন দিন পরে রাজ্য সরকার কী নির্দেশ দেয় তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে জরুরি পরিষেবাকে এই বিধিনিষেধ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই বিকল্প দিনে বাজার চালু রাখার
সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বারাসত পুরসভাও। আপাতত সেখানে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার সব ধরনের বাজার বন্ধ থাকবে।
ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় সপ্তাহে তিন দিন করে সমস্ত বাজার বন্ধ রাখা শুরু হয়েছে। উত্তর দমদমেও সপ্তাহে দু’দিন বাজার বন্ধ থাকছে। কিন্তু এত দিন দমদম পুর এলাকায় সারা সপ্তাহ বাজার খোলা থাকছিল। ফলে সেখানে ভিড় বাড়ছিল।
তবে ব্যবসায়ী সমিতিগুলিকে নিয়ে বাজার জীবাণুমুক্ত করা এবং সচেতনতার প্রচার চলছিল বলে দাবি পুরসভার। সূত্রের খবর, বৈঠকে হাজির ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিরাও পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সপ্তাহে দু’দিন বাজার বন্ধের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন।
7