রবিবার বাতিল বহু ট্রেন, উৎসবের মরসুমে হয়রানি

এমনিতেই সময়ে ট্রেন চলে না। তার উপরে রবিবারের ট্রেন বাতিল অব্যাহত। ফলে দুপুরের দিকে শিয়ালদহের যে কোনও শাখাতেই এখন লোকাল ট্রেনগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০২:০৭
Share:

এমনিতেই সময়ে ট্রেন চলে না। তার উপরে রবিবারের ট্রেন বাতিল অব্যাহত। ফলে দুপুরের দিকে শিয়ালদহের যে কোনও শাখাতেই এখন লোকাল ট্রেনগুলিতে ভিড় উপচে পড়ছে। এই সময়ে পুজোর বাজারের জন্য শহরতলি থেকে কলকাতা আসেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু ট্রেন বাতিলের হিড়িকে নাকাল হতে হলেও রেল কর্তাদের এই নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই।

Advertisement

পুজোর আর সপ্তাহ তিনেক বাকি। ছুটির দিনে কেনাকাটা করতে হাতে আর তিনটি রবিবার রয়েছে। যাত্রীদের প্রশ্ন, এখনও যদি রেল কর্তৃপক্ষ রবিবার বাতিল ট্রেনগুলি না চালান, তা হলে চলবে কী ভাবে? এ মাসের শুরু থেকেই কার্যত পুজোর বাজার করার হিড়িক পড়েছে। যাত্রীদের বক্তব্য, মেট্রো কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে শনি-রবিবার অতিরিক্ত ট্রেন চালাতে শুরু করেছেন। কিন্তু পূর্ব রেলের কর্তারা এই নিয়ে এখনও কোনও চিন্তা-ভাবনা করে উঠতে না পারায় রবিবার যথারীতি ট্রেন বাতিল থাকছে। ফলে ট্রেনগুলিতে অস্বাভাবিক ভিড়ে পরিবার নিয়ে ওঠাই দায় হয়ে পড়েছে।

ভিড়ের সুযোগে বেড়েছে পকেটমারিও। ট্রেনের কামরায় ভিড় তো রয়েছেই। সুযোগ বুঝে গেটগুলিতেও ভিড় করে থাকছে পকেটমারের দল। ওই ভিড় ঠেলে ট্রেন নামা-ওঠা করার সময়েই তারা হাতসাফাই করে পালাচ্ছে। মোবাইল, মানিব্যাগ এবং বিশেষত নতুন জামাকাপড়ের ব্যাগের উপরেই তাদের বেশি নজর। পকেটমারি ঠেকাতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল পুলিশের কর্তারা। তাঁরা জানান, স্টেশন ও কয়েকটি রাতের ট্রেনে সাদা পোশাকের পুলিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে হারে যাত্রী বেড়েছে, তাতে ওই সংখ্যক পুলিশ দিয়ে পকেটমারি ঠেকানো যে কার্যত অসম্ভব, তা তাঁরা মেনে নিয়েছেন।

Advertisement

ভিড়ের দাপট হাওড়ার চেয়ে শিয়ালদহে অনেকটাই বেশি। শিয়ালদহে এখন প্রতিদিন প্রায় ২৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতি দিন চালানো হয় ৮০০-র বেশি লোকাল ট্রেন। কিন্তু ছুটি থাকলে প্রায় ৩০ শতাংশ ট্রেন বাতিল থাকে। এমনিতেই রবিবার দুপুরের পরে ট্রেনে ওঠা দায়। তার মধ্যে পুজোর বাজার করতে আসা মানুষের ভিড়ে এখন ট্রেনে পা রাখাই দায় হয়ে পড়েছে।

যাত্রীদের বক্তব্য, পুজোর কথা ভেবে সেপ্টেম্বর মাসের চারটে রবিবার সব ট্রেন চালানো উচিত ছিল। কিন্তু রেল কর্তারা তা-ও করতে পারলেন না। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, ‘‘পুজোর আগে শেষ দু’টি রবিবার যাতে পুরোপুরি ট্রেন চালানো যায় তার চেষ্টা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement