‘শোলে’ ছবির একটি দৃশ্যে ধর্মেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্তিকে বিয়ে না করলে বেঁচে থাকাই বৃথা। তাই জীবন শেষ করে দেবে বলে জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠে পড়েছিল বীরু। ধর্মেন্দ্রের মুখে ‘চাক্কি পিসিং’-এর সংলাপের পাশাপাশি ‘শোলে’ ছবির এই দৃশ্য বেশ জনপ্রিয়। তবে এই দৃশ্যই নিজের মতো করে বুনলেন ছত্তীসগঢ়ের এক তরুণ। কোরবা জেলার মানিকপুর থানার কাছে দাদার বস্তি এলাকায় থাকেন তিনি। তরুণের নাম কর্ণ। বয়স ২৬ বছর। দাদার এলাকার বাসিন্দা তিনি।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, স্ত্রীর কাছে মদ কেনার জন্য ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন কর্ণ। কিন্তু টাকা দিতে রাজি হননি তাঁর স্ত্রী। তাই দুঃখে, অভিমানে গ্রামের হাই-টেনশন টাওয়ারে উঠে পড়েন কর্ণ। ৬০ ফুট উঁচু বৈদ্যুতিন খুঁটিতে উঠে চিৎকার করতে শুরু করেন তিনি। মদের টাকা না দিলে তিনি নিজেকে শেষ করে দেবেন এমন হুমকিও দেন তিনি। এই পরিস্থিতি দেখে গ্রামবাসীরা খুঁটির নীচে জড়ো হয়ে যান। কেউ তাঁকে ঝাঁপ দিতে বারণ করেন, কেউ আবার প্রতিশ্রুতি দেন যে কর্ণের হাতে ৫০০ টাকা ধরিয়ে দেবেন অথবা মদের বোতল কিনে দেবেন। ‘শোলে’ ছবির দৃশ্যই যেন।
কিন্তু কিছুতেই নীচে নামছিলেন না কর্ণ। ছেলেকে বুঝিয়ে উঠতে পারেন না কর্ণের মাও। মাকে দেখে তরতর করে আরও উঁচুতে উঠে পড়েন কর্ণ। উপায় না দেখে শেষমেশ পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় পুলিশ। প্রায় ঘণ্টাখানেক খুঁটির উপর বসে থাকার পর নীচে নেমে আসেন কর্ণ।
পুলিশ মারফত জানা যায়, সেই সময় মদ্যপ ছিলেন কর্ণ। তরুণের পরিবারের দাবি, মদ খেয়ে বাড়িতে নিত্য অশান্তি করেন কর্ণ। সব শোনার পর কর্ণকে বাড়ি পৌঁছে দেন পুলিশকর্মীরা।