প্রতীকী ছবি।
প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে আজ, বুধবার শুরু হচ্ছে শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবা। কিন্তু শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বামনগাছি, দত্তপুকুর, মধ্যমগ্রামের মতো বেশ কয়েকটি স্টেশনের মাস্টার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। ফলে বিকল্প হিসেবে কোথাও অন্য স্টেশনের মাস্টারকে দিয়ে, কোথাও আবার স্টেশন মাস্টারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে পরিষেবা শুরু করছে রেল। শুধু স্টেশন মাস্টারেরাই নন, ওই শাখায় কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন রেলের বেশ কিছু কর্মী এবং সাফাইকর্মীও। রেলের অবশ্য দাবি, এই অবস্থাতেও মসৃণ থাকবে যাত্রী পরিষেবা।
শুরু থেকেই এ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা। রেল সূত্রের খবর, সম্প্রতি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বামনগাছির এক স্টেশন মাস্টারের। তাঁর বিকল্প হিসেবে দত্তপুকুর থেকে এক জন স্টেশন মাস্টারকে এনে বিশেষ ট্রেনের পরিষেবা দিচ্ছিল রেল। বর্তমানে তিনিও কোভিডে আক্রান্ত। পাশাপাশি, মধ্যমগ্রামের এক জন স্টেশন মাস্টারও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্টেশন মাস্টার এবং অন্য কর্মীরা ছাড়াও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক জন সাফাইকর্মীও। যদিও এ বিষয়ে রেলের দাবি, যাত্রীদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কয়েক জন স্টেশন মাস্টার ও কর্মী কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেবেন। তবে এই পরিস্থিতিতেও যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হবে না। সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সে দিকে লক্ষ রাখা হচ্ছে।’’
নিখিলবাবু জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে বনগাঁ, গোবরডাঙা, হাবড়া, দত্তপুকুর ও বারাসত লোকাল মিলিয়ে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ২০ জোড়া ট্রেন চালানো হবে। সংক্রমণ রুখতে বারাসত-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের প্রবেশপথে থাকবে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা। রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও কড়া নজর রাখবেন।