পুকুরে ভেসে উঠল মরা মাছ

ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির রেলপুকুর এলাকায়। ওই এলাকায় একটি বড় জলাশয়ে সোমবার থেকে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৪
Share:

মরা মাছ ভাসছে জলে। মঙ্গলবার, বাগুইআটির রেলপুকুর এলাকায়। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

পুকুরে বিসর্জন নিয়ে আপত্তি আগেই উঠেছিল। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। বিসর্জনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলা হলেও শেষরক্ষা হল না। এ বছরেও বিসর্জনের পরে অসংখ্য মাছ মরে ভেসে উঠল পুকুরের জলে। ঘটনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্থানীয়েরা।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির রেলপুকুর এলাকায়। ওই এলাকায় একটি বড় জলাশয়ে সোমবার থেকে মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখা যায়। ওই পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট ও বড় মাছ রয়েছে। স্থানীয় একটি ক্লাব ও পুরসভা তার দেখভাল করে। ওই ক্লাবের এক কর্মকর্তা উৎপল চন্দ জানান, এ বারেও কমবেশি ৫০টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। দ্রুত প্রতিমা তুলে নিলেও রাসায়নিকের প্রভাবে ক্ষতি হচ্ছে মাছের। এ বারেও অসংখ্য ছোট মাছের মৃত্যু ঘটেছে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ সমর্থন করে স্থানীয় বিধাননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ প্রণয় রায় বলেন, ‘‘পুজোর আগেই বৈঠকে এই পুকুর প্রসঙ্গে সমস্যা তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি। তবে ওই জলাশয় রক্ষায় বিসর্জন একেবারে বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’’

Advertisement

পরিবেশ বিজ্ঞানী স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ধরনের দূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রশাসন সচেতনতার প্রচার থেকে শুরু করে নির্দেশিকা জারি— সবই করছে। তবে তার কতটা সর্বত্র প্রয়োগ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’’

তাঁর কথায়, মূলত শারদোৎসবের সময়ে নদী কিংবা বড় জলাশয়ের ক্ষেত্রে যতটা নজর থাকছে, রাজ্য জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় জলাশয়ের ক্ষেত্রে তা থাকছে না। বাগুইআটির ঘটনা তারই একটি উদাহরণ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement