রবিবারের বৃষ্টির ২৪ ঘণ্টা পরেও হাওড়ার হাওড়ার চার্চ রোডের চিত্রটা এমনই। সোমবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
অল্প বৃষ্টি হয়েছে রবিবার রাতে। সেটুকু বৃষ্টিতেই হাঁটু জল জমে গেল হাওড়া ময়দান সংলগ্ন চার্চ রোডে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা নামল না। ব্যস্ত ওই রাস্তায় চূড়ান্ত নাজেহাল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আটকে গেল যানবাহনও। হাওড়া পুরসভার অভিযোগ, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য নিকাশি নালা বুজে যাওয়ায় এই দুর্গতি। মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় অবিলম্বে বিকল্প নিকাশি নালা তৈরি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে।
চার্চ রোডে জমা জলের সমস্যা এই প্রথম নয়। কয়েক মাস আগেও নিকাশি নালা বুজে় ওই রাস্তা জলে ভেসেছিল। বিষয়টি নিয়ে টাপান-উতোরে জড়িয়ে পড়ে হাওড়া পুরসভা ও ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পুরসভা অভিযোগ করে, মেট্রোর কাজের জন্য মাটি জমে নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে এই ভোগান্তি। অন্য দিকে মেট্রোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পুরসভার নিকাশি ব্যবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল। তবে ওই সময়ে মেট্রো ও পুরসভা যৌথ ভাবে নিকাশি নালা সাফ করে জল নামায়। কিন্তু রবিবার রাতের বৃষ্টিতে ফের একই সমস্যা হওয়ায় আবারও প্রশ্নে মেট্রোর ভূমিকা।
হাওড়ার মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারবার এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মেট্রোকে আমরা বলেছি অবিলম্বে সমধানসূত্র বার করতে। এ জন্য পুরসভার কাছে সাহায্য চাইলে সর্বতোভাবে করা হবে।’’ হাওড়ার বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘হাওড়া কলকাতার থেকে পুরনো শহর। মেট্রো রেল এখানে কাজ করতে গিয়ে অন্যায় ভাবে এর যতটুকু নিকাশি ব্যবস্থা ছিল, তা-ও নষ্ট করে দিল।’’
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর চিফ ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজি বলেন, ‘‘এলাকার দীর্ঘকালীন সমস্যা সমাধানে বিকল্প নিকাশি নর্দমা তৈরি হবে। এ নিয়ে পুরসভার সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে।’’ তিনি জানান, আপাতত জল নামাতে চারটি পাম্প চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি পাম্পে করে জল তুলে ট্যাঙ্কারে ভরে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। আশা করা যায় সোমবার রাতের মধ্যেই জল নেমে যাবে।