—প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষা শেষে হিসাব মেলাতে গিয়েই ধরা পড়ল গরমিল। ২১টি খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। তার পরে অনেক খোঁজাখুঁজি সত্ত্বেও মেলেনি খাতা। শেষে থানায় জমা পড়ল অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার বিরাটির মৃণালিনী দত্ত মহাবিদ্যাপীঠের ঘটনা। নিমতা থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বি কমের (অনার্স) ষষ্ঠ সিমেস্টারের পরীক্ষা ছিল। কলেজের একটি ঘরে বাণিজ্য শাখা এবং অর্থনীতির পরীক্ষা ছিল। প্রথম এক ঘণ্টা বাণিজ্য এবং তার পরের দু’ঘণ্টা অর্থনীতির পরীক্ষা হয়। সেই ঘরে ৫৮ জন বাণিজ্য শাখার পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এক জন পরীক্ষার্থী গরহাজির ছিলেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে খাতা জমা পড়ে। অশিক্ষক কর্মচারীরা যখন খাতার হিসাব করতে যান, তখনই দেখা যায়, ২১টি খাতা কম আছে। এর পরে দফায় দফায় কলেজের সকলের সঙ্গে আলোচনা হয়। খাতা খুঁজে দেখা হয়। কিন্তু সেই খাতাগুলি মেলেনি।
শেষে বৃহস্পতিবার নিমতা থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়। সেই অভিযোগের প্রতিলিপি পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ইমেল করে ঘটনার কথা জানানোও হয়েছে।
ওই কলেজের অধ্যক্ষা সুদেষ্ণা লাহিড়ী জানালেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সন্দেহজনক কিছু দেখা যায়নি। যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা সকলেই অভিজ্ঞ। প্রশাসন তদন্ত করছে। পাশাপাশি, কলেজ কর্তৃপক্ষও ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, বাণিজ্য শাখার পরীক্ষার খাতা উধাও হওয়ার একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত অবশ্য সেই সব খাতার হদিস মেলেনি।