কলকাতা এবং তার আশপাশের এলাকা থেকেই উদ্ধার হতে পারে চোরাই গাড়ি! এমনটাই বলছেন তদন্তকারীরা। সিনেমার প্রযোজক পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তির থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল প্রতীক চক্রবর্তী নামে এক যুবক। অনলাইনে সেগুলি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে পূর্ব যাদবপুর থানার পুলিশ ওই যুবককে সম্প্রতি গ্রেফতারও করে।
মঙ্গলবার প্রায় ৭০ জন গাড়ির মালিক পূর্ব যাদবপুর থানায় হাজির হন। তাঁরা পুলিশকে জানান, গাড়ি নেওয়ার পরে কয়েক মাস প্রতীক ভাড়ার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু তার পরে ভাড়ার টাকা তো দূর, প্রতীকের খোঁজই পাননি তাঁরা। তাঁদের আশঙ্কা, ওই গাড়িগুলিও অনলাইনে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এ দিন পুলিশের তরফে গাড়ির মালিকদের দ্রুত গাড়ি উদ্ধারের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, কলকাতার কয়েকটি জায়গায় কিছু গাড়ির সন্ধানও মিলেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু প্রকাশ করতে চাইছে না পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত উত্তর ২৪ পরগনার শ্রীকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা প্রতীক কোনও প্রযোজক নয়। নিয়মিত একটি ওয়েবসাইটে গাড়ি বিক্রির উপরে নজর রাখত সে। সেখান থেকে ফোন নম্বর এবং নাম জোগাড় করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফোন করে টোপ দিত প্রতীক। পূর্ব যাদবপুরের পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে কসবা, পাটুলি-সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়েছিল সে। কারও কাছ থেকে আবার তিন চারটি করে গাড়িও নিয়েছিল। এমনকী সেই তালিকায় ছিল কোটি টাকা মূল্যের গাড়িও। সম্প্রতি কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন থানায় প্রতীকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন একাধিক গাড়ির মালিক। তারই তদন্তে নেমে এই গ্রেফতার।
এ দিন প্রতীকের আইনজীবী পূর্ব যাদবপুর থানায় গেলে গাড়ি মালিকেরা তাঁর উপর চ়ড়়াও হন। তাঁরা দাবি তোলেন, তাঁদের গাড়ি না দিলে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও পুলিশ পরে পরিস্থিতি সামাল দেয়।