মা উড়ালপুলে দেখা যাওয়া এই গাড়িটি তাঁর বলে দাবি রবীন্দ্র সুব্বার।
দামি এসইউভি গাড়ি বিক্রি করতে দিয়েছিলেন কলকাতার একটি সংস্থাকে। কিন্তু প্রায় দু’বছর পরেও কোনও টাকা পাননি। গাড়িটি আদৌ বিক্রি হয়েছে কি না, তা-ও জানতে পারেননি। উল্টে এখনও সেই গাড়ির জন্য নেওয়া ঋণের কিস্তি মিটিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি জানা যায়, গাড়ি বিক্রির সেই সংস্থার মালিক জুন মাসে আত্মঘাতী হয়েছেন। এই অবস্থায় গাড়িটি কী ভাবে ফেরত পাবেন, তা জানতে চেয়ে কলকাতা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন কার্শিয়াঙের বাসিন্দা রবীন্দ্র সুব্বা। তিনি সেখানকার একটি বোর্ডিং স্কুলের মালিক।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার রবীন্দ্রবাবুর তরফে তাঁর আত্মীয় অরবিন্দ সিংহ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অক্টোবরে রবীন্দ্রবাবু গড়িয়াহাটের একটি বেসরকারি সংস্থার মালিক অজয় সেনের সঙ্গে চুক্তি করেন তাঁর গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার জন্য। তিনি আগেও ওই সংস্থার মাধ্যমে গাড়ি বিক্রি করিয়েছিলেন। কিন্তু এ বার সেটি বিক্রির কোনও টাকা তিনি হাতে পাননি বলে অভিযোগ রবীন্দ্রবাবুর। তাঁর দাবি, বার বার ফোন করা হলেও প্রতি বারই অজয়বাবু সময় চেয়ে গিয়েছেন। রবীন্দ্রবাবু গাড়ি ফেরত চেয়েও পাননি।
গত বছরের নভেম্বর থেকে অজয়বাবু ফোন ধরা বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ রবীন্দ্রবাবুর। গত জুন মাসে খবর নিতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, অজয়বাবু আত্মঘাতী হয়েছেন। এর পরে গাড়ি ফেরত পেতে কোথায় যাবেন, কিছুই বুঝতে পারেননি রবীন্দ্রবাবু।
রবীন্দ্রবাবুর আত্মীয় অরবিন্দবাবুর দাবি, খোঁজখবর করে তিনি জানতে পারেন, অজয়বাবুর সংস্থার সঙ্গে তাঁর ছেলের কোনও সম্পর্ক নেই। সোমবার সেই ছেলে অমিতাভ সেন বলেন, “বাবার আর আমার ব্যবসা সম্পূর্ণ আলাদা। বাবার ব্যবসা ওঁর মৃত্যুর পরে কেউ দেখছেন কি না, আমার জানা নেই। রবীন্দ্র সুব্বার সঙ্গে বাবার কী কথা হয়েছিল, আমি জানি না।”
গত শনিবার রবীন্দ্রবাবু লেক থানায় বিষয়টি নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অরবিন্দবাবুর দাবি, গাড়িটি আদৌ বিক্রি হয়েছিল কি না, তা জানা না গেলেও ওই গাড়ি কলকাতার রাস্তায় চলতে দেখা গিয়েছে। এমনকি মা উড়ালপুলের উপরেও গাড়িটির দেখা মিলেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।