প্রতীকী চিত্র।
ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে বদলা নেওয়ার ভাবনা থেকে অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাটে ঢুকে ব্লেড চালিয়েছিল মনোজিৎ মাইতি। কিন্তু কী কারণে প্রতিহিংসা তা এখনও পরিষ্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে। বালিগঞ্জের সানি পার্কের এক আবাসনের ফ্ল্যাটে ঢুকে পরিচারিকার গলা লক্ষ্য করে ব্লেড চালানোর ঘটনার পিছনে আসল কারণ সম্পর্কে তাই এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ।
যদিও পুলিশি জেরায় সে জানিয়েছে, আগে যখন সে এই আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটে কাজ করত, তখন তাকে ছাদে বেঁধে মারধর করা হয়েছিল। মনোজিতের দাবি, সে রাতে কাজ সেরে ছাদের কলে স্নান করত, গান করত। তাতে অন্য ফ্ল্যাটের পরিচারক, পরিচারিকাদের সমস্যা হত। তারাই অভিযোগ করলে আবাসনের লোকজন তাকে ধরে বেঁধে, মারধর করেছিল। যদিও মনোজিতের এই বক্তব্যের কোনও প্রমাণ পুলিশ এখনও হাতে পায়নি। ফলে সে কতটা সত্যি বলছে সে সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নয়। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার গ্রেফতারের পরে তাকে রবিবার আদালতে তোলা হলে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এই হেফাজতে থাকাকালীন তাকে জেরা করে আসল কারণ জানা যাবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। একই সঙ্গে পরিচারিকা পল্লবীকেও আরও জেরা করা প্রয়োজন বলে তাদের দাবি। শনিবার দুপুরে বালিগঞ্জ থানার সানি পার্কের এক অভিজাত আবাসনে ঢুকে সেখানকার তিন তলার এক ফ্ল্যাটে ঢোকে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা মনোজিৎ। অভিযোগ কলিং বেল বাজালে সেই ফ্ল্যাটের পরিচারিকা পল্লবী ওরফে পিঙ্কি গুপ্তর গলায় ব্লেড চালায় মনোজিৎ। পালানোর আগে ফ্ল্যাটের মালিকের দু’টি গাড়ির চাবি নিয়ে পালায়। কিন্তু পরে সন্ধ্যাতেই সে ধরা পড়ে যায়। আর তার পরেই শুরু হয় পুলিশি জেরা।