বটগাছের মগডালে যুবক। —নিজস্ব চিত্র।
গাছের ডাল থেকে রোগী নামাতে গিয়ে শুক্রবার গোটা দুপুর নাকাল হল দমকল-পুলিশ। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা এক রোগীর আত্মীয় প্রথম দেখেন, এক ব্যক্তি একটি বটগাছের মগডালে উঠে পড়েছেন।
প্রথমে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও, খানিক ক্ষণের মধ্যে তিনি দেখেন বিপজ্জনক ভাবে ওই ব্যক্তি এক ডাল থেকে অন্য ডালে সরে যাচ্ছেন। তিনি অন্য লোকজনকে বিষয়টি দেখান। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে নেমে আসতে বলেন। কিন্তু কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি ওই ব্যক্তি। খবর পেয়ে তত ক্ষণে ঘটনাস্থলে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা।
অধ্যক্ষের অফিসের ঠিক পাশেই ওই বটগাছ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানান। হাসপাতালে ডিউটিরত পুলিশকর্মীরা এসে প্রথমে ওই যুবককে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কোনও অনুরোধেই সাড়া না দিয়ে গাছের ডালে বসে থাকেন ওই যুবক। এর পরেই খবর দেওয়া হয় এন্টালি থানায় এবং লালবাজার কন্ট্রোল রুমে।
আরও পড়ুন: মা গান শুনতে শুনতেই চলে গেলেন, বললেন নন্দনা, দুপুরেই নবনীতার শেষকৃত্য
এর পর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন, সঙ্গে যান দমকল কর্মীরা। তাঁরা দমকলের মই নিয়ে গাছে ওঠেন, কিন্তু ওই যুবকের নাগাল পেতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাঁদের। বার বার গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে সরে গিয়ে দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানদের হাত এড়াতে থাকেন তিনি। শেষমেশ বেলা ২টো ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর নাগাল পান দমকল কর্মীরা। ওই ব্যক্তিকে নীচে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: গতি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’, শুরু বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি, উপকূলে দমকা হাওয়া
তবে এখনও ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই ব্যক্তি মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁকে নীচে নামাতে পেরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পুলিশ ও দমকলকর্মীরা। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ঝিরঝিরে বৃষ্টির মধ্যে গাছের এক ডাল থেকে অন্য ডালে সরতে গিয়ে পড়ে যেতে পারতেন ওই যুবক।”
কয়েক সপ্তাহ আগে ঠিক এই ভাবেই বেলঘরিয়ায় উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎবাহী তারের খুঁটিতে উঠে পড়েছিলেন এক যুবক। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।