—প্রতীকী ছবি
এক যুবককে মারধর করার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়েছে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে। বৃহস্পতিবার বর্ষবরণের রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাঘা যতীন এলাকায়।
পুলিশের দাবি, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ওই গোলমাল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। আক্রান্তের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে তাঁর পরিবার সূত্রের দাবি। দু’টি হাসপাতাল ঘুরে আহত ওই যুবককে বাঘা যতীনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকেই শনিবার রাত পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বাঘা যতীন কলেজ সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির স্ত্রী এখন আর তাঁর সঙ্গে থাকেন না। তাঁর ভাইপো বর্ষবরণের রাতে মত্ত অবস্থায় কাকার বাড়ির সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন, কাকারই পাশের বাড়ির বাসিন্দা এক যুবক কাকার সংসার ভাঙার জন্য দায়ী। ওই যুবক সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন না।
অভিযোগ, পরে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকের থেকে এ সব শুনে অভিযুক্ত যুবক প্রথমে তাঁর প্রতিবেশীর বাড়ি ভাঙচুর করেন। এর পরে দলবল ডেকে অভিযোগকারী যুবকের বাড়ি গিয়ে তাঁকে বার করে তুলে নিয়ে যান অভিযুক্ত। লোহার রড এবং বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরে তাঁকে বাঘা যতীন স্টেশনের পাশে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
রাত দুটো নাগাদ স্থানীয় এক জন ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখে আক্রান্তের বাড়িতে খবর দেন। খবর যায় পুলিশেও। দ্রুত তাঁকে বাঘা যতীনের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মাথায় এবং মুখে গুরুতর চোট লেগেছে। রাতেই তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে বাইপাসের ধারের আর একটি হাসপাতালে
সরানো হয়। এ দিন বেলায় তাঁকে অন্য আর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত যুবক এলাকায় নেই। তাঁর ফোনও বন্ধ। তাঁর পরিবারের দাবি, ছেলে রাতে কী করেছে তাঁরা জানেন না। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “ওকে অপমান করা হয়েছে। কিছু যদি হয়ে থাকে ওই অপমানের কারণেই হয়েছে।’’