Rape case

কিশোরীর গোপন জবানবন্দি, ‘ধর্ষণে’ বেকসুর খালাস অভিযুক্ত

আজাদের আইনজীবী শুভময় সমাদ্দার ও কোয়েল মোদক আদালতে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক , শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৫:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করলেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক।

Advertisement

আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ওয়াটগঞ্জ থানায় এক মহিলা অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে সহবাস করেছেন মহম্মদ আজাদ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর মেয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। অভিযোগের ভিত্তিতে আজাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে তোলা হলে প্রথমে তাঁকে পাঁচ দিন, পরে ১২ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

মাস তিনেক পরে মামলার বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়। আজাদের আইনজীবী শুভময় সমাদ্দার ও কোয়েল মোদক আদালতে দাবি করেন, তাঁদের মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। কিন্তুওই নাবালিকা অভিযোগে জানায়, তাকে নিয়ে কয়েক বার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলেন আজাদ। ওই সময়ে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজাদ শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন। তার পরেই ওই কিশোরীর গোপন জবানবন্দি গ্রহণ করেন বিচারক।

Advertisement

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন জবানবন্দিতেনির্যাতিতা জানিয়েছে, সে আজাদকে ভালোবাসে। কিন্তু আজাদ তাকে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। সেই কারণেই সে পুলিশেরদ্বারস্থ হয়েছিল। বর্তমানে আজাদ বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আজাদের বিরুদ্ধে তার আর কোনও অভিযোগ নেই বলেও জানায় ওই নাবালিকা। এর পরে আদালতে আজাদ দাবি করেন, ওই কিশোরী অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পিছনে তিনি দায়ী নন। তা শুনে আদালতের তরফে ওই নাবালিকার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালত সূত্রের খবর, করোনা আবহে দীর্ঘ কয়েক মাস শুনানি বন্ধ থাকায় ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছিল। আজাদের আইনজীবী শুভময়বাবু বলেন, ‘‘গত সেপ্টেম্বর মাসে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তাতে বলা হয়েছিল, আজাদের সঙ্গে ওই কিশোরীর সন্তানের কোনও সম্পর্ক নেই। মামলার শুনানিতে গোপন জবানবন্দি এবং ওই রিপোর্ট পেশ করা হয়।’’ তার ভিত্তিতেই গত ২২ ডিসেম্বর বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক আশুতোষ সরকার আজাদকে বেকসুর খালাস করেন। মামলার মুখ্য সরকারি আইনজীবী রাধাকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে ওই ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’’

ঘটনার পরে আজাদ বলেন, ‘‘আমি এজলাসে বিচারকের সামনে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলাম। সব অভিযোগ যে মিথ্যা ছিল, সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।’’ শুভময়বাবু বলেন,
‘‘মিথ্যা অভিযোগ করার জন্য ওই নাবালিকা এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।’’ যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ওই কিশোরী। তাঁর মা শুধু বলেন, ‘‘আদালতে সব জবাব দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement