ভাল কাজ করলে আমার সন্তান, আর খারাপ কাজ করলেই তোমার! দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে এই অতি চেনা কথাটা নতুন করে চেনাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল জোড়াসাঁকোয় সেতু বিপর্যয়ের পরই ঘটনাস্থলে গিয়ে দায় চাপিয়েছিলেন বাম জমানার উপর। আজ দাঁতনে জনসভা করতে গিয়েও তিনি বলেন, “ওরা ৩-৪টে সেতু তৈরি করেছে। সেগুলো ভেঙে গিয়েছে। আমাদের সেগুলো তৈরি করতে হচ্ছে। এমন প্ল্যানিং আর টেন্ডার করল যে ভেঙেই গেল!”
তিনি আরও বলেন, “রাজারহাট দিয়ে যখন যাই তখন ভয় হয় এই বুঝি সব ভেঙে পড়ল।” রসুলপুরে বন্দর তৈরির প্রসঙ্গ নিয়েও বামেদের দুষতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী।
ভেঙে পড়া উড়ালপুলের বরাত দেওয়া হয়েছিল বাম আমলেই। সাত বছর আগে। ঘটনা হল, নির্মাণ কাজ চলার এই সাত বছরের মধ্যে পাঁচ বছরই ক্ষমতায় আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কী করে তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এর দায় এড়াতে পারে? প্রশ্ন উঠেছে সঙ্গত ভাবেই।
তা ছাড়া বাম আমলে তৈরি হতে শুরু করা, বা প্রায় তৈরি হয়ে যাওয়া, স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে উড়ালপুল উদ্বোধন করে, নিজে উন্নয়নের কৃতিত্ব জাহির করে গেছেন একের পর এক। যেমন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, মা উড়ালপুল, নাগেরবাজার উড়ালপুল। এগুলোর কৃতিত্ব যিনি এক বারের জন্যও বাম আমলকে দেননি, সেই তিনিই সেতু ভেঙে পড়ার পর মরিয়া হয়ে উঠেছেন দায় ঝেড়ে ফেলতে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি দায় ঝেড়ে ফেলতে পারবেন মমতা? সরকারি দায়দায়িত্বের প্রশ্ন তো উঠবেই। তার সঙ্গে এই সেতু নির্মাণের সাব কন্ট্রাক্ট নিয়ে যে সব তথ্য আসতে শুরু করেছে, তাতে নাম উঠছে তাঁর দলেরই নেতানেত্রীদের ঘনিষ্ঠজনদের।
আরও পড়ুন...
দাগি সংস্থাকেই সেতু তৈরির ভার! ২৩ প্রাণের মাসুল দিল মহানগর