Mamata Banerjee

‘বিশুদের গলি দিয়ে স্কুলে আসতাম, মাইনে ৬০ টাকা’, দিদিমণিবেলার গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

স্কুলের মাঠটিকে ভাল করে সাজানো এবং একটি মাল্টিজিম নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের উপরেই সেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩১
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।

কলেজে পড়ার সময়ে ভবানীপুরের মন্মথনাথ প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই স্কুল উঠে যেতে বসেছিল। কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতাই কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন স্কুলটিকে নতুন করে নির্মাণ করার। সোমবার নবকলেবরে মাথা তুলে দাঁড়ানো পাঁচ তলা স্কুলভবনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। আর সেই উদ্বোধনের মঞ্চে নিজের দিদিমণিবেলার গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। দশম শ্রেণি পর্যন্ত সেই স্কুলের নাম হল ‘ভবানীপুর মডার্ন স্কুল’। পাঁচ তলা স্কুল বাড়িটি নির্মাণে খরচ হয়েছে পাঁচ কোটি টাকা।

Advertisement

সোমবার আরামবাগের সরকারি কর্মসূচি শেষ করে ভবানীপুরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘আমি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ার সময় থেকে এই স্কুলে পড়াতাম। সকালে কলেজ করে এখানে পড়াতে আসতাম।’’ কী ভাবে আসতেন, তা-ও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘সোজা হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট দিয়ে এসে, বিশুদের গলি দিয়ে, ভবানীপুর পাঠাগারের পাশ দিয়ে স্কুলে আসতাম। মাইনে পেতাম ৬০ টাকা।’’

কলকাতা-সহ মফস্সলে পাড়ার অনেক রাস্তাকেই বিভিন্ন মানুষের বাড়ির নামের গলি হিসেবে বলার চল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও সে ভাবে ‘বিশুদের গলি’ উল্লেখ করেছেন। তার পরেই তিনি বলেছেন, ‘‘অনেকে আমায় বলেন, আমি এত রাস্তা চিনি কী করে? আরে! আমি চিনব না তো কে চিনবে। আমি তো সব রাস্তা, গলি ঘুরে বেড়াতাম।’’ মমতা বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে আমি ববিকে (কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম) নিয়ে পুজো দেখতে গিয়েছিলাম। এই জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বলেছিলাম, এই স্কুলে আমি পড়াতাম। তার পর ওরাই সব খোঁজখবর নিয়ে এই স্কুলটা নতুন করে গড়ে তুলেছে।’’ পাশাপাশি, স্কুলের মাঠটিকে ভাল করে সাজানো এবং একটি মাল্টিজিম নির্মাণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ববির উপরেই সেই দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

সোমবার স্কুল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে আরও একটি বিষয় মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন। তা হল, অন্তত ২৫ বছর আগেই তাঁর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করা রয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘আমি কিন্তু ২০-২৫ বছর আগে স্বাধীন সংঘে চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছিলাম। আমি যখন মারা যাব, তখন যেন মনে থাকে, আমার চোখ দুটো দান করা রয়েছে।’’ তবে ওই মঞ্চ থেকেও আইনি জটে সরকারি স্কুলে নিয়োগ আটকে থাকা নিয়ে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘কিছু শকুনির জন্য নিয়োগ আটকে রয়েছে। সেই শকুনিদের কাজই হল উকুন বাছা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement