সূচনা: চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।
প্রসূতি ও নবজাতকদের চিকিৎসার জন্য পূর্ণাঙ্গ ভবন তৈরি হল চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ‘মাতৃ মা’ নামে ওই ভবনের উদ্বোধন করেন। তিনি জানান, চিত্তরঞ্জন সেবা সদনকে নিয়ে রাজ্যে মোট ১৭টি ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ তৈরি হল।
ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, এত দিন সেখানে স্ত্রী-রোগ, প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসা হত। সেখানে নবজাতকদের জন্য ১০টি নিকু (এনআইসিইউ) ৩৯টি এসএনসিইউ-সহ মোট ৪১৫টি শয্যা ছিল। রাজ্য সরকার ওই হাসপাতালে ‘মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে নতুন ছ’তলা বাড়ি তৈরি করা হয়। পুরো প্রকল্পটিতে খরচ হয়েছে ২৪ কোটি ৯ লক্ষ টাকা। নতুন ভবনে প্রসূতি বিভাগে থাকছে ১৬১টি শয্যা। এ ছাড়াও নিকুতে ২৩টি, এসএনসিইউয়ে ৬০টি এবং হাইব্রিড ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ১০টি শয্যা রয়েছে। থাকছে দু’টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও লেবার রুম। প্রসূতির যাবতীয় পরীক্ষাও হবে ওই নতুন ভবনে।
এ দিন উদ্বোধনের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে তো কিছুই ছিল না। এখন রাজ্যে ৩০৩টি এসএনএসইউ এবং ৪৩টি মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই চিত্তরঞ্জন সেবা সদন বাচ্চাদের হাসপাতাল বলে পরিচিত। এখানে আমার ভাই-বোনেদেরও জন্ম হয়েছে।’’
চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতালের অধ্যক্ষ চিকিৎসক আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত দিন স্ত্রী রোগ, প্রসূতি ও শিশুদের চিকিৎসা হত, এ বার শুধু প্রসূতি ও নবজাতকদের জন্য আলাদা ভবন তৈরি হয়ে বৃত্ত সম্পূর্ণ হল। এখান থেকে আরও উন্নত পরিষেবা মিলবে মা ও শিশুর। সব মিলিয়ে মোট শয্যা দাঁড়াল ৫৭৬ টি।’’
পাশাপাশি এ দিন নবান্ন সভাঘর থেকে রাজ্যে হাসপাতালভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসন সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে সমস্ত ক্যানসার রোগীর যাবতীয় তথ্য জমা থাকবে সরকারের কাছে। সেখানে রোগী চিহ্নিতকরণ, তাঁর চিকিৎসা এবং চিকিৎসা-পরবর্তী পর্যবেক্ষণও করা হবে। এ বিষয়ে সময় মতো চিকিৎসক ও রোগীর কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত মেসেজও পৌঁছবে।
কলকাতার গোবিন্দ খটিক রোডে ডি এন দে হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সংস্কার করে নতুন রূপে গড়ে তোলা হয়েছে। কাজের জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। এ দিন নবান্ন থেকে সেটিরও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী।