কারখানায় ভয়াল আগুন

কারখানার টিনের ছাদ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন স্থানীয় মানুষ। বিপদ আঁচ করে তড়িঘড়ি ফাইবারের সামগ্রী তৈরির ওই কারখানার আগুন নেভাতে যান। নিমেষেই আগুনের ভয়াবহতা ঠাহর হয়। পরপর তিনটি কারখানা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকল। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কারখানা ও পিছনে থাকা গুদামগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৫ ০০:২৪
Share:

তখনও জ্বলছে কারখানা। বৃহস্পতিবার, বেলেঘাটায়। —নিজস্ব চিত্র।

কারখানার টিনের ছাদ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন স্থানীয় মানুষ। বিপদ আঁচ করে তড়িঘড়ি ফাইবারের সামগ্রী তৈরির ওই কারখানার আগুন নেভাতে যান। নিমেষেই আগুনের ভয়াবহতা ঠাহর হয়। পরপর তিনটি কারখানা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকল। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কারখানা ও পিছনে থাকা গুদামগুলি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেলেঘাটা মেন রোডের পাশের ওই কারখানায় আগুন লাগে। ভিতরে মজুত ছিল প্রচুর দাহ্যবস্তু ও রাসায়নিক। ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া ছাপাখানা ও প্লাস্টিকের কারখানায়।

বেলেঘাটা ‘সেলস ট্যাক্স’ ভবনের কাছে অনেকগুলি ছোট ছোট কারখানা রয়েছে। কোনও বসতবাড়ি না থাকলেও পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ সেগুলিরই একটির টিনের শেড থেকে প্রথমে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সেই সময়ে সমস্ত কারখানা ও গুদাম বন্ধ ছিল। ফলে ভিতরে কোথায় আগুন লেগেছে বা কী ভাবে, তখনও জানা যায়নি। প্রথমে খবর দেওয়া হয় দমকলে। লাগোয়া দু’টি বাড়িতেই সপরিবার থাকেন উত্তম ওঝা এবং সন্তোষ সাহা। উত্তমবাবু ফোন করেন ১০০ ডায়ালে। সেখান থেকে দমকলে খবর গেলে দফায় দফায় ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মোট ২২টি ইঞ্জিন। তবে ইতিমধ্যেই দমকলের জন্যে অপেক্ষা না করেই স্থানীয় লোকেরা কারখানার পাশের একটি অনুষ্ঠান বাড়ির উপরে উঠে টিনের শেডে জল দেওয়া শুরু করেন। আগুনও ছড়িয়ে যায় বেশ খানিকটা।

Advertisement

পাশেই রয়েছে ছাপাখানা। দমকল আসার আগেই দেখা যায় সেখান থেকেও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মুহূর্তের মধ্যেই পাশের লোহার গ্রিলের কারখানা ও তার পাশে সন্তোষবাবুদের প্লাস্টিকের কারখানা ও গুদামেও আগুন লাগে। দাউ দাউ আগুনে বেঁকে যেতে থাকে প্রতিটি কারখানার টিনের শেড। পাশে থাকা একটি গাছও পুড়ে যায়। পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ভরে যেতে থাকে। প্রায় পৌনে সাতটা নাগাদ প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। আতঙ্কে এলাকার লোকজন সকলেই প্রায় রাস্তায় চলে আসেন। গোটা বেলেঘাটা মেন রোড জুড়েই শুরু হয় ব্যাপক যানজট। রাত সওয়া ন’টা পর্যন্ত আগুন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

দমকল সূত্রে খবর, প্রথমে কারখানার শাটার বন্ধ থাকায় ঢোকা যাচ্ছিল না। তা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন দমকলকর্মীরা। পরপর প্রায় আরও পনেরোটি ইঞ্জিন সেখানে পৌঁছয়। দমকল জানায়, ফাইবার সামগ্রীর কারখানায় ব্যাপক পরিমাণে রাসায়নিক মজুত ছিল। এবং সেখানে সমস্ত বস্তুই ছিল দাহ্য। তাই খুব দ্রুত আগুন ছড়ায়। কারখানাগুলির পিছনে গুদামও রয়েছে। সেখানেও আগুন ধরে।

অন্য দিকে, এ দিনই দুপুর দেড়টা নাগাদ বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের এক বহুতলের পাঁচতলায় একটি অফিসে ধোঁয়া দেখতে পান কর্মীরা। পুলিশ জানায়, সকলে বাইরে বেরিয়ে আসেন। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টার চেষ্টায়
আগুন নেভায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement