Majerhat Flyover

শক্তি পরীক্ষায় পাশ করলে তবে খুলবে মাঝেরহাট সেতু

প্রায় ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মাঝেরহাট সেতুর ভার বহন ক্ষমতা ৩৮৫ টন।

Advertisement

ফিরোজ ইসলাম

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:৫৯
Share:

—ফাইল চিত্র

মাঝেরহাট সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার পরে এ বার তার ভার বহন ক্ষমতা যাচাইয়ের পর্ব শুরু হল। সোমবার রাত থেকে ওই কাজ শুরু হয়েছে। পরীক্ষা সফল হলে চলতি মাসের শেষে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সেতু উদ্বোধন করে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

সোমবার থেকে ওই কাজের জন্য কমবেশি ২০টি মালবোঝাই ট্রাক তৈরি রাখা হয়। প্রায় ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মাঝেরহাট সেতুর ভার বহন ক্ষমতা ৩৮৫ টন। ওই রাতেই ধাপে ধাপে সেতুর উপরে ভার চাপিয়ে তার কাঠামোয় কোথাও পরিবর্তন আসছে কি না, তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। ওই রাতেই পরীক্ষার শুরুতে সেতুর বহন ক্ষমতার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ভার চাপানো হয়। ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে একশো শতাংশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সারাদিন সেতুর উপরে তার সর্বাধিক ক্ষমতা অনুযায়ী ভার চাপানো ছিল। পরে রাতের দিকে ওই ভার সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভার অপসারণের পরে সেতুর কাঠামোয় কী ধরনের বদল আসছে, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞেরা। সেই বদলের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমায় থাকছে কি না তা দেখেই সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে মতামত দেবেন তাঁরা।

প্রায় ৬৫০ মিটার দীর্ঘ মাঝেরহাট সেতুর মধ্যবর্তী ২২৭ মিটার অংশ ঝুলন্ত। রেললাইনের উপরে থাকা ওই অংশের ভার মূলত ৮৪টি কেব্‌লের উপরে রয়েছে।

Advertisement

ভার বহন ক্ষমতার যাচাই পর্বে সেতুর কেব্‌লগুলির সঙ্কোচন ও প্রসারণের মাত্রা দেখে সেগুলিকে প্রয়োজন অনুযায়ী টান দেওয়ার কাজ করা হতে পারে। এই কাজকে পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা ‘ফাইন টিউনিং’ বলছেন।

সেতুর ভারবহন সং‌ক্রান্ত যাবতীয় পরীক্ষা শেষ করতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে দফতর সূত্রের খবর। তবে, এই কাজের জন্য শিয়ালদহ-বজবজ শাখায় ট্রেন চলাচল এখনই ব্যাহত হচ্ছে না। এক রেলকর্তা বলেন, ‘‘গভীর রাতে যে সময়ে ট্রেন চলে না, তখনই পরীক্ষার কাজ হচ্ছে। ফলে ট্রেন চলাচল বাধা পাওয়ার কথা নয়।’’

মাঝেরহাট সেতুর চারটি সার্ভিস রোডের মধ্যে মোমিনপুর, নিউ আলিপুর এবং তারাতলার দিকের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি একটি সার্ভিস রোড। মাঝেরহাট স্টেশন সংলগ্ন অংশে জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর কাজ চলায় ওই সার্ভিস রোডের কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে।

সেতুর উপরে আলো বসানো‌ প্রায় শেষ। এক পরত রং হয়ে গিয়েছে। সেতুর নীচে কিছু সৌন্দর্যায়নের কাজ এখনও বাকি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement