উদ্ধারকাজে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স।ফাইল চিত্র।
চব্বিশ ঘণ্টাতেও উদ্ধারকাজ সম্পূর্ণ হল না মাঝেরহাট সেতুতে। পুলিশ-প্রশাসন সূত্রের খবর, উদ্ধারকাজ শেষ করতে আরও ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগতে পারে। উদ্ধারকাজে দেরির দায় এলাকার অবস্থানগত পরিস্থিতির উপরই চাপিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যেরা। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে, বহু উদ্ধারকর্মীকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ‘ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স’-এর কম্যান্ডার নিশীথ উপাধ্যায় বুধবার বলেন, ‘‘আশপাশের রাস্তা খুবই সরু। মাত্র এক দিক দিয়ে যন্ত্র নামিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে। বাকি সব দিকই বন্ধ।’’
উদ্ধারকাজে দেরির কথা মেনে নিয়েছেন পুর এবং দমকল আধিকারিকেরাও। এক দমকলকর্তা বলেন, ‘‘ড্রিল যন্ত্রের মাধ্যমে চাঙড় ভেঙে ক্রেন দিয়ে ধংসস্তূপ সরানো হচ্ছে। কিন্তু সব দিক থেকে জায়গা না-পাওয়ায় হাতে হাতে ধংসস্তূপ সরাচ্ছেন আমাদের কর্মীরা।’’
আরও খবর: এক বছর অবহেলায় আটকে মাঝেরহাটের ৩ কোটির সংস্কার
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, চার দিকে খাল থাকায় প্রাণহানি কম হয়েছে। তবে উদ্ধারকাজে দেরির কারণ ওই খালই। চাঙড়ের নীচে ঢোকানো ক্যামেরায় চোখ রেখে এ দিন তদারকি করতে দেখা যায় পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে।