তদন্তে ফরেন্সিক। নিজস্ব চিত্র।
কী অবস্থায় ছিল মাঝেরহাট সেতু?যে অংশটি ভেঙে পড়েছেতা দেখে খোলা চোখে আর কিছুই বোঝার উপায় নেই। পুরোটাই ধ্বংসস্তূপ। কিন্তু যে অংশটি ভেঙে পড়েনি, সেখান থেকে কিকিছুটা ঠাহর করা সম্ভব।
সেতুর বাকি অংশের হাল বুঝতেই গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছনো গেল। তাতে উঠে এল সেতুর জরাজীর্ণ অবস্থাই।অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর বিভিন্ন অংশে দেখা গেল আগাছার ঝাড়, কোথাও বেরিয়ে আছে রডের অংশ, কোথাও ক্ষয়ে গিয়ে উঠে গিয়েছে গায়ের প্লাস্টার। জল জমে বিভিন্ন জায়গা স্যাঁতসেঁতেও হয়ে গিয়েছে। সেতু জুড়ে অযত্নের ছাপ সর্বত্রই। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই আশঙ্কা, সেতুর অবস্থা, তাতে এমন দুর্ঘটনা আগেই ঘটতে পারত!
ডায়মন্ডহারবার, কাকদ্বীপ, বেহালা— একটা বিস্তীর্ণ এলাকাএই সেতুর সঙ্গে যুক্ত। ভারী পণ্যবাহী লরি, বাস, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ট্রাম— সবই চলতএই সেতুর উপর দিয়ে। অথচ মেরামতির অবস্থা যে তথৈবচ!
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: পূর্ত দফতরের গাফিলতিতেই এত বড় দুর্ঘটনা, মত বিশেষজ্ঞের
কে দায়ী, তা নিয়ে একটা চাপানউতোর ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। মেট্রোরেলের কাজেরকম্পনেরজন্য সেতুরস্বাস্থ্যে প্রভাব পড়েছে এই রকম একটা অভিযোগ আসছে বিভিন্ন মহল থেকেই। কিন্তু সেতুর স্বাভাবিক মেরামতির কাজে যে গাফিলতি ছিল তা-ও অত্যন্ত স্পষ্ট। সেতুর উপরেও একসময়ে চালু ট্রামলাইনের বিভিন্ন অংশ বিপজ্জনক ভাবে বেরিয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়া সেতুরউপরে পিচ ঢালার সময়ও ওজনের হিসেব মাথায় রাখা হয়নি। ব্রিজের উপর ভার বেড়ে যাওয়ার এটিও একটি অন্যতম কারণ বলে অনুমান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন: মেট্রোর কাজেই ব্রিজের ক্ষতি, অনড় পুরমন্ত্রী, তদন্তে রাইটস-ও
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)