ট্রেলার-ট্রাক বন্ধের সিদ্ধান্তে সঙ্কটে বন্দর

নবান্নের এই সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ, কলকাতায় ট্রেলার-ট্রাকের অধিকাংশই আসে কলকাতার নেতাজি সুভাষ এবং খিদিরপুর ডকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:২১
Share:

দুর্ঘটনার পরেই। —নিজস্ব চিত্র।

সরকারের কাছে মানুষের জীবন বেশি দামি, চাকা নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় ১০ বা ২০ চাকার ট্রেলার-ট্রাক ঢুকতে দেবেন না। বৃহস্পতিবার নবান্নে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

নবান্নের এই সিদ্ধান্তে প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছেন কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ, কলকাতায় ট্রেলার-ট্রাকের অধিকাংশই আসে কলকাতার নেতাজি সুভাষ এবং খিদিরপুর ডকে। সেখান থেকে বাক্সবন্দি পণ্য নিয়ে তারা যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। নেপাল-ভুটানেরও প্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসপত্র যায় কলকাতা বন্দর থেকে। কলকাতা বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী বলতে চেয়েছেন, আমরা সেটা বোঝার চেষ্টা করছি। বন্দরে ২২ চাকার ট্রেলার ঠিক কত আসে, তা দেখা হচ্ছে। এই ধরনের সিদ্ধান্তে বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা বিকল্প উপায় বার করার চেষ্টা করব।’’

বন্দরের খবর, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার আগে কলকাতা বন্দর থেকে ১৫০০ ট্রেলার পণ্য নিয়ে বেরোত। বুধবার সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৯০০। যানজটের জন্যই এই অবস্থা। কলকাতা বন্দরে সর্বাধিক ৯০০০ কন্টেনার থাকলে তা খালাসের ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু তার জন্য অন্তত ১৫০০ ট্রেলারকে প্রতিদিন বন্দর থেকে বেরোতে দিতে হবে। নইলে মার খাবে পণ্য পরিবহণ।

Advertisement

সেতু ভাঙার পরে বন্দর এলাকার তারাতলা রোড, হাইড রোড, ট্রান্সপোর্ট ডিপো রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে গাড়ি চলাচল বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু ওই সব রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। তাই আলো, জল, নিকাশি, রাস্তা সারানোর কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছে পুরসভা। বন্দর সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement