মৃত গৌতম মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ৩৭ ঘণ্টা পর তৃতীয় মৃতদেহটি উদ্ধার হল। আর কোনও মানুষ ব্রিজের ভাঙা অংশের নীচে চাপা পড়ে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম গৌতম মণ্ডল (৪৫)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ভেঙে পড়া স্ল্যাব কেটে তাঁর অসাড় দেহ বার করে আনা হয়। গৌতমের বাড়ি মুর্শিদাবাদের তেঁতুলিয়ায়। মঙ্গলবার যাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, দুর্ঘটনার সময় সেই প্রণব দে-র সঙ্গেই ছিলেন গৌতমও। দু’জনেই মেট্রোর ঠিকা শ্রমিক। ওই দিন দু’জনের শিফ্ট ছিল না। ব্রিজের নীচে অস্থায়ী ঘরে তাই বাকিদের জন্য রান্না করছিলেন তাঁরা। আচমকাই মাথার উপর ব্রিজের অংশটি ভেঙে পড়লে চাপা পড়ে যান।
ঘটনার খবর শোনার পর থেকেই ব্রিজের কাছে হাজির হন গৌতমের আত্মীয়-পরিজনেরা। ছেলে তোতনও তাঁর সঙ্গেই ঠিকা কর্মীর কাছে এসেছিলেন। ঘটনার সময় সে উল্টো দিকের একটি শিবিরে ঘুমিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় অল্পবিস্তর চোট পান তিনি।
আরও পড়ুন: গ্রামে প্রস্তুত কনে, শহরে ধ্বংসস্তূপের তলায় প্রণব
পুলিশ জানিয়েছে, স্নিফার ডগ ভাঙা অংশের নীচে মানুষের চাপা পড়ে থাকার সন্ধান দিচ্ছিল। তাই খুব সাবধানে এয়ার প্রেশার হ্যামার দিয়ে কংক্রিটের পুরু আস্তরণ ভেঙে ফেলার চেষ্টা শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্নিফার ডগের চিহ্নিত করা অংশ থেকেই বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পরপর দু’দিন দুটি মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই নিয়ে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন। এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে জখম ১৩ জনের।
দেখুন ভিডিয়ো: