চারু মার্কেটে যুবক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। লালবাজার সূত্রে জানানো হয়েছে, ধৃতের নাম বুম্বা দে। সে ওই এলাকারই বাসিন্দা। বুধবার গভীর রাতে টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে বুম্বাকে পাকড়াও করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার তাকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হলে ৩০ মার্চ পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার চারু মার্কেট এলাকার একটি পরিত্যক্ত গুদাম থেকে সোমনাথ সর্দার (৩৫) নামে এক যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
লালবাজারের খবর, টালিগঞ্জ রেল কলোনি এলাকার দুই কিশোরের পরিবার বুধবার সকালে পুলিশকে জানায়, মঙ্গলবার রাতে বুম্বা ওই দুই কিশোরের মোবাইল কেড়ে নিয়েছিল। এর পরে জোর করে ‘ভূত’ দেখানোর নামে কিশোরদের ওই গুদামে নিয়ে যায় সে। সেখানেই ঘুমন্ত এক যুবককে যখন বুম্বা মারধর করছিল, সে সময়ে পালিয়ে আসে ওই দুই কিশোর। এর পরে খবর পেয়ে ওই গুদামে গিয়ে সোমনাথকে উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের দাবি, জেরায় বুম্বা ইতিমধ্যেই খুনের কথা কবুল করেছে। মঙ্গলবার রাতে বুম্বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল বলে জেনেছে পুলিশ। তবে কী কারণে এই খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। সোমনাথের দেহ ময়না-তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, মারধরের কারণেই ওই যুবকের শরীরের ভিতরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে আঘাত লেগেছিল। সেখান থেকে রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সোমনাথ স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা হলেও মানসিক অসুস্থতার জেরে বছর তিনেক আগে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পর থেকে রাতে ওই গুদামেই থাকতেন তিনি।