বাঁ দিকে নিহত দিলীপ সিংহ আর ডান দিকে অভিযুক্ত সুজিত মল্লিক
কলকাতার রিজেন্ট পার্কের গুলি-কাণ্ডে গ্রেফতার হল মূল অভিযুক্ত সুজিত মল্লিক। শুক্রবার ওই ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
দোলের দিন রং মাখানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিজেন্ট পার্কের নতুন পল্লি এলাকায় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত সুজিত নিহত দিলীপ সিংহের দীর্ঘ দিনের বন্ধু। পেশায় বাদাম বিক্রেতা ছিলেন দিলীপ। সুজিতের পৈতৃক বাড়ি রামনগরে। একে অপরের ভাই বলেও নিজেদের পরিচয় দিতেন সুজিত ও দিলীপ। শুক্রবার দোল খেলতে এসে সুজিতের স্ত্রী বৃহস্পতি মল্লিককে রং মাখিয়েছিলেন দিলীপ। এর পর মদের আড্ডায় সুজিতের কাছে বৃহস্পতিকে বিয়ের করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। মূলত এ নিয়েই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বাধে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, দিলীপের প্রস্তাব মেনে নিতে পারেনি সুজিত। সঙ্গে সঙ্গে মদের আসর থেকে উঠে চলে গিয়েছিলেন। তার কিছু ক্ষণ পর আবার ফিরে এসে দিলীপকে লক্ষ্য করে গুলি করে সে। ওই ঘটনার পরেই গা ঢাকা দেয় সুজিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে সুজিতকে। শেষ বার জোকায় সুজিতের মোবাইলের নেটওয়ার্ক পাওয়া গিয়েছিল। তা থেকেই তদন্তকারীরা অনুমান করেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রয়েছে অভিযুক্ত। এর পর ফাঁদ পাতা হয়। শনিবার ডায়মন্ড হারবার-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে সুজিতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গুলি ছোড়ার ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয় নতুন পল্লি এলাকায়। বৃহস্পতির বক্তব্য, ‘‘সুজিতের হাতে অস্ত্র কী ভাবে এল, ভেবে পাচ্ছি না।’’ পুলিশও তা জানার চেষ্টা করছে। এ নিয়ে ধৃতকে জেরাও করা হচ্ছে। রবিবার সুজিতকে আদালতে হাজির করানো হতে পারে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর।