প্রতীকী ছবি।
যে পুকুরে এলাকার অনেকেই স্নান করেন ও বাসন মাজেন, সেখানেই নোংরা ফেলতে শুরু করেছিলেন কেউ কেউ। যার প্রতিবাদ করেছিলেন ওই পুকুরের মালিক, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের এক শিক্ষক। অভিযোগ, তার জেরেই দুই প্রতিবেশী ওই শিক্ষককে হুমকি দেন এবং তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রাম থানার কেমিয়া-খামারপাড়া এলাকায়। ওই দম্পতির আরও অভিযোগ, বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে বুধবার বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে বিশ্বরূপ বিশ্বাস নামে ওই স্কুলশিক্ষক এক প্রতিবেশীকে তাঁর পুকুরে নোংরা ফেলতে বারণ করেন। অভিযোগ, এর পরে জব্বার আলি নামে সেই প্রতিবেশী তাঁকে নানা রকম ভাবে হুমকি দিতে থাকেন। আরও অভিযোগ, আমপানে উপড়ে যাওয়া গাছ রাস্তা থেকে সরাতে গেলে আর এক প্রতিবেশী বিশ্বরূপের স্ত্রী শ্যামলী বিশ্বাসকে মারধর করেন। এখানেই শেষ নয়, ওই দম্পতির বাড়ির জল ও কেব্ল সংযোগ কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরে বিশ্বরূপ বলেন, ‘‘ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসন ও থানায় জানিয়ে লাভ হয়নি। তাই পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবেশী জব্বার আলির দাবি, ‘‘সব মিথ্যা অভিযোগ। ওঁরাই ঝামেলা করেছেন।’’
এ বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা হবে।’’