—ফাইল ছবি
মর্গে মৃতদেহ পড়ে থাকায় সমস্যায় পড়ছে হাসপাতাল। মর্গ খালি করতে কয়েক জন মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য পুলিশকে তাই অনুরোধ জানালেন এম আর বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, গত ২০ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতার ওই হাসপাতালের সুপার যাদবপুর থানায় একটি চিঠি পাঠান। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, হাসপাতালের সহকারী সুপার, হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির আধিকারিক-সহ আরও কয়েক জনকে। চিঠিতে ১৫ জন মৃতের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, মৃত্যুর বিবরণ, তারিখ ও সময়
উল্লেখ করা রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ওই মৃতদেহগুলির শেষকৃত্য করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে তাঁরা জানিয়েছেন, মর্গে মৃতদেহ জমে রয়েছে। যার ফলে সেখানে দেহ রাখতে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তার জন্য ওই ১৫ জনের পরিবারের সঙ্গে অবিলম্বে পুলিশকে যোগাযোগ করতে বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন, মিলল নিখোঁজ কিশোরের দেহ
জানা গিয়েছে, ওই চিঠিতে ১৫ জনের মধ্যে ছ’জনের নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘কোভিড পজ়িটিভ’। পাঁচ জনকে হাসপাতালে আনার পরে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তিন জনের ঠিকানা থাকলেও পরিজনেদের সন্ধান মেলেনি। আর এক জন দাবিদারহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাসপাতালের এক আধিকারিকের দাবি, যে ছ’জনের নামের পাশে ‘কোভিড পজ়িটিভ’ লেখা রয়েছে তাঁরা অন্য রোগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে মারা যান। মৃত্যুর পরে তাঁদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। তখন জানা যায়, তাঁরা করোনা পজ়িটিভ। আর পুলিশকে জানানোর বিষয়টিও রুটিন প্রক্রিয়া বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই আধিকারিক বলেন, ‘‘একটি পরিবারের কোনও সদস্যের মৃত্যুর কারণ কী, তা জানার অধিকার রয়েছে তাঁর বাড়ির লোকের। তাই তাঁদের জানিয়ে পুরসভা মারফত দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: বিঘ্ন যাত্রাতেও, শুরুই হয়নি মহরতের প্রস্তুতি
অজ্ঞাতপরিচয় এবং পরিজনেদের খোঁজ না-পাওয়া মৃতদেহ একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সৎকারের ব্যবস্থা করে পুলিশ-প্রশাসনই। বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হলে সেই মৃতদেহের শেষকৃত্য করছে প্রশাসন। বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করে তা পাঠানো হচ্ছে শহরের নির্দিষ্ট জায়গায়। সূত্রের খবর, ২০ এপ্রিল ওই চিঠি পাঠানোর পরে ১৫টি মৃতদেহের মধ্যে ইতিমধ্যেই কয়েকটির শেষকৃত্য করার ব্যবস্থা হয়েছে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি এম আর বাঙুর হাসপাতালের সুপার শিশির নস্কর। কিছু বলতে চায়নি কলকাতা পুলিশও।