ত্রিকোণ সম্পর্কের জটিলতার জেরেই সোনারপুরের জগদানন্দ পল্লির ব্যবসায়ী কমল বৈদ্য (৩৮) খুন হয়েছেন বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। শনিবার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে ধামাইতলা এলাকায় কমলের নলি কাটা মৃতদেহ মেলে। পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন কমল। পুলিশ জানায়, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রবিবার রাতে অনুপম বৈদ্য নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কমলের স্ত্রী সুমিত্রােদবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল ওই ব্যবসায়ীরই বন্ধু মিঠুন রায়ের। তবে সুমিত্রাই অনুপম ও মিঠুনের নামে অভিযোগ করেছেন। জেরায় কমলকে খুনের কথা অনুপম স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, অনুপমের বয়ান অনুযায়ী, কমলকে ফোন করে ডেকেছিল মিঠুন। পরে তাকেও ফোন করে ডাকে। সে-ই অনুপমকে বলে কমলকে জাপটে ধরতে। তার পরে ছুরি দিয়ে কমলের গলা কেটে দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে মিঠুন ফেরার।
সুমিত্রা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, মিঠুনের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘‘মিঠুন মাস দুই আগে কমলের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে। পরে ওদের ঝামেলা হয়। তার পরে আর ওঁদের সম্পর্ক ছিল না।’’ মিঠুনের বাড়ি জগদানন্দপল্লি থেকে কিছু দূরে নাটপাড়ায়। তদন্তকারীরা জানান, মিঠুনের খোঁজ চলছে।