Lotto Lottery

লোটোর ব্যবসা ফের মাথা তুলছে বিধাননগরে

ধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, কেষ্টপুর ও জ্যাংড়ায় লোটোর ব্যবসা সক্রিয়, গত জানুয়ারিতে এমন খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় বাগুইআটি থানার পুলিশ

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:২৫
Share:

লোটোর ব্যবসা আবারও সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতীকী ছবি।

রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় লোটোর ব্যবসা আবারও সক্রিয় হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ দু'-একটি জায়গায় হানা দিয়ে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে। তবুও চোরাগোপ্তা অনেক জায়গায় লোটো চলছে বলে খবর।

Advertisement

বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রের খবর, কেষ্টপুর ও জ্যাংড়ায় লোটোর ব্যবসা সক্রিয়, গত জানুয়ারিতে এমন খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় বাগুইআটি থানার পুলিশ। গ্রেফতার হন চার জন। জানা যাচ্ছে, রাজারহাট-গোপালপুর কিংবা রাজারহাট-নিউ টাউন বিধানসভা এলাকার অতি নিম্নবিত্ত এলাকায় ফের এই কারবার সক্রিয় হতে শুরু করেছে।

ওই জুয়ার আড্ডায় মূলত যাতায়াত নিম্নবিত্ত মানুষের। তাঁরা সর্বস্বান্ত হলেও ওই জুয়ার কারবারিরা যথেষ্ট মুনাফা করেন। কেষ্টপুর, জ্যাংড়া, মিশন বাজার, চার নম্বর ক্যাম্প, বটতলা-সহ অনেক জায়গায় লোটোর কারবারিরা সক্রিয় বলেই এলাকায় খবর। যদিও কমিশনারেটের এক আধিকারিকের দাবি, পুলিশ খবর পেলেই লোটোর ঠেকে হানা দিচ্ছে। গ্রেফতার করছে।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভার স্থানীয় ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি প্রসেনজিৎ নাগ জানান, তাঁর ওয়ার্ডে জগৎপুর ও শিমুলতলায় দু’টি ঠেক চলত। তিনি বলেন, ‘‘যে দু’টি ঘরে ঠেক দু’টি চলত, সেখানে স্থানীয়েরা ঢুকে কম্পিউটার এবং ব্যবসার অন্য সরঞ্জাম ভেঙে দেন। এক কারবারির কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল।’’

লোটোর ব্যবসা যে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে, মানছে বিধাননগরের পুলিশ। দিন কুড়ি আগেই হেলা বটতলা এলাকায় একটি ঠেক বন্ধ করে কয়েক জনকে গ্রেফতার করেছিল ইকো পার্ক থানার পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘বুকিদের ধরতে পারলে জামিন অযোগ্য ধারাতেই মামলা হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই সব ঠেকে মূলত পেনসিলার নয়তো গ্রাহকেরা আসেন। তাঁদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার ধারা ছাড়া অন্য কঠিন ধারায় মামলা করা যায় না। ফলে এঁদের নিয়ন্ত্রণে ঝক্কি থাকে।’’

এলাকা সূত্রের খবর, মূলত রাতের দিকে বাজারের ঘুপচি দোকান, নিম্নবিত্ত এলাকার গলির ভিতরে ঠেক চলে। বাঁধানো দোকানেও যে ঠেক চলে না, তেমন মোটেও নয়।

এক সময়ে সিন্ডিকেট, ভিন্ রাজ্য থেকে নর্তকী পাচারের মতো অপরাধের ঘাঁটি ছিল রাজারহাট-গোপালপুর এলাকা। পুলিশের ঘন ঘন হানা ও ধর-পাকড়ে তা যেমন অনেকটাই অস্তমিত, লোটোর ব্যবসা বন্ধ করতেও তেমনই সক্রিয় হতে হবে পুলিশকে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেষ্টপুর, মিশন বাজার এলাকার মানুষের দাবি, লোটোর চাঁইরা স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের ধরতে পারলে ওই ব্যবসা বন্ধ হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement