—প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের সময়ে কাজ হারিয়ে হতাশায় ডুবে গিয়েছিলেন বছর তেষট্টির সৌমিত্র সেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকেই রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখলেন প্রতিবেশীরা। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা সৌমিত্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যাদবপুর থানার গল্ফ ক্লাব রোডের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত ৩টে নাগাদ উপর থেকে ভারী কিছু নীচে পড়ার শব্দ শুনে বাইরে বেরিয়ে এসে স্থানীয়েরা দেখেন, পি/৪৫ গল্ফ ক্লাব রোডের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন সৌমিত্রবাবু। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশে। সৌমিত্রবাবুকে প্রথমে বাঘা যতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে সেখান থেকে ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, একটি ছোট সংস্থায় হিসাবরক্ষকের কাজ করতেন সৌমিত্রবাবু। কিন্তু লকডাউনে তাঁর কাজ চলে যায়। তার পরে গত পাঁচ-ছ’মাসে কোনও কাজ না পেয়ে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সেই অবসাদ থেকেই এ দিন বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে সৌমিত্রবাবু আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। সৌমিত্রবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা রয়েছে।
তবে তাঁরা এ নিয়ে কোনও কথা বলতে চাননি। মৃত্যুর কারণ জানতে পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। তবে এর পাশাপাশি সৌমিত্রবাবুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।