লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়। তা হলে তিনি কি আর পুরসভার চেয়ারপার্সন পদে থাকতে পারবেন না? মঙ্গলবার কালীঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মালাদেবীর নাম ঘোষণা করার পর থেকেই এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। নতুন চেয়ারপার্সন কে হতে পারেন, তা নিয়ে কেউ কেউ সম্ভাব্য নামের তালিকাও দিতে শুরু করেন।
এ দিন দলনেত্রী যখন কালীঘাটে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করছেন, তখন মালাদেবী কলকাতা পুর ভবনে নিজের ঘরে বসে সোমবারের পুর অধিবেশনের কাগজপত্রে সই করছিলেন। সঙ্গে ছিলেন পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক রত্না শূর। কাজের মধ্যেই চালানো ছিল টিভি। হঠাৎই দলনেত্রীর ঘোষণা, ‘দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে আমাদের দলের প্রার্থী শ্রীমতী মালা রায়’। আচমকা দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে প্রার্থী
হিসেবে নিজের নাম শুনে হতবাক হয়ে যান মালাদেবীও। পরে বলেন, ‘‘দিদি আমার উপরে বড় দায়িত্ব দিয়েছেন। দলকে জেতানোই এখন আমার মূল লক্ষ্য।’’ এর মধ্যেই ভিড় বাড়ে তাঁর ঘরে। চর্চা চলে চেয়ারপার্সন পদ নিয়েও।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘লোকসভায় প্রার্থী হওয়া বা
সাংসদ হওয়া, কোনও ক্ষেত্রেই কাউন্সিলরের কোনও বাধা নেই। আর চেয়ারপার্সন পদটি লোকসভা বা বিধানসভার অধ্যক্ষের মতো সাংবিধানিক নয়।’’ মেয়র জানান, সাংসদ হয়েও কেউ চেয়ারপার্সন পদে থাকতে পারেন।