যুবভারতীতে খেলা মানেই সল্টলেকের আইএ ব্লকের বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। —ফাইল চিত্র।
এ যেন মাঠ দখলে রাখারই লড়াই।
রাস্তার উল্টো দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। ঠিক তেমনই ডুরান্ড কাপের ফাইনালের দুপুরে বেআইনি পার্কিং ঠেকাতে বাইকবাহিনীর সঙ্গে লড়ে গেলেন সল্টলেকের আইএ ব্লকের বাসিন্দারা। যুবভারতীতে খেলা মানেই তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত। গোটা ব্লকে চলে বাইক এবং গাড়ির অবৈধ পার্কিং। অভিযোগ, এর পাশাপাশি প্রকাশ্যে চলে সমর্থকদের প্রস্রাব করা এবং মদ্যপান। বাধা দিলে জোটে গালিগালাজ। এমনকি, কাপের সেমিফাইনালের দিন কয়েক জনকে ব্লকে মদ্যপান করতে বাধা দেওয়ায় এক যুবকের নাক-মুখ ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
রবিবার তাই ব্লকের বাসিন্দারা নেমেছিলেন এলাকা দূষণ ও বেআইনি পার্কিং থেকে মুক্ত রাখতে। বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে ব্লকের প্রবেশপথগুলিতে গার্ডরেল বসানো হয়। বাইক এবং গাড়িচালকদের ঠিকানা জানতে চাইতে দেখা যায় মোতায়েন থাকা পুলিশকে। দুপুর ২টোর পর থেকে আবাসিকেরাও পাহারা দিতে শুরু করেন। তাঁরা জানান, ঝাঁকে ঝাঁকে বাইক ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে যৌথ বাধার মুখে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। অভিযোগ, এর জেরে গালিগালাজও শুনতে হয়েছে বাসিন্দাদের।
আইএ ব্লকের আবাসিকদের সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সম্রাট বসু বলেন, ‘‘প্রতি বার খেলার সময়ে এই সমস্যা হয়। বাড়ির সামনে বাইক রেখে চলে যান লোকজন। কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা থাকে না। পুলিশ খুব সাহায্য করেছে। কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’’