রক্তাক্ত প্রৌঢ়াকে উদ্ধার করলেন পড়শিরা

মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। এ দিন দুপুরে ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৪৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকার একটি আবাসনের এক ফ্ল্যাট থেকে এক মহিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরে ওই মহিলার মেয়েও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা। এ দিন দুপুরে ওই আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দীপালি প্রতিহার (৬৫) নামে ওই প্রৌঢ়াকে। তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণা প্রতিহারকেও উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে তারা জানতে পেরেছে মা ও মেয়ের মধ্যে সোমবার রাতে অশান্তি হয়েছিল। ফের এ দিন অশান্তি হয়। তার জেরে মেয়ে মাকে মারধর করেন বলেই পুলিশের অনুমান। প্রৌঢ়ার মাথায় আঘাত লাগে বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে সেই প্রাথমিক ভাবে পাওয়া তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে ওই ফ্ল্যাট থেকে প্রৌঢ়ার আর্তনাদ শোনা যায়। নিরাপত্তারক্ষী ও স্থানীয়দের একাংশ প্রৌঢ়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। মহিলার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে একাধিক বার আঘাত করা হয়েছে বলে উদ্ধারকারীদের অনুমান। ফ্ল্যাটের ভিতরে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, আহত প্রৌঢ়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর মেয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। সেই তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Advertisement

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিধাননগর পুরসভার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিনু দাস (চক্রবর্তী)। তিনি জানান, পারিবারিক কোনও অশান্তি চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন।

স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটটি এক অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারের। তাঁর মেয়ে বেঙ্গালুরুতে বসবাস করেন। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন। মেয়ের সঙ্গে তাঁর মা থাকতেন। সম্প্রতি তাঁরা কলকাতার ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। তবে ফ্ল্যাটে অবশ্য অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে দেখা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement