New Alipore College

মির্চা এলিয়াদের দর্শন নিয়ে আলোচনা

ভারতে এসে রোমানিয়ার বাসিন্দা মির্চা দর্শন পড়তেন মৈত্রেয়ী দেবীর বাবার কাছে। থাকতেন তাঁদের বাড়িতে। মৈত্রেয়ীর থেকে ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি শিখতে চেয়েছিলেন মির্চা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ০২:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

মৈত্রেয়ী দেবীর উপন্যাস ‘ন হন্যতে’ মনে দাগ কাটেনি, এমন বাঙালি প্রায় বিরল। নিউ আলিপুর কলেজে শনিবার দুপুর ভরে উঠল সেই ভালবাসার গল্পেই। এ দিন সেখানে ‘মির্চা এলিয়াদের দর্শনে ভারতীয় দর্শনচিন্তার প্রভাব’ প্রসঙ্গে বক্তৃতা দিলেন রোমানিয়ার ক্লুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারততত্ত্ব বিভাগের প্রধান মিহেলা গ্লিগোর। তাঁর ভাষণে উঠে এল রবীন্দ্রনাথ, মির্চা এলিয়াদ থেকে মৈত্রেয়ী দেবী— সবই।

Advertisement

ভারতে এসে রোমানিয়ার বাসিন্দা মির্চা দর্শন পড়তেন মৈত্রেয়ী দেবীর বাবার কাছে। থাকতেন তাঁদের বাড়িতে। মৈত্রেয়ীর থেকে ভারতীয় ভাষা, সংস্কৃতি শিখতে চেয়েছিলেন মির্চা। মৈত্রেয়ীও ভিনদেশি ভাষা শিখতে চেয়েছিলেন মির্চার থেকে। তাঁদের বন্ধুত্ব প্রেমে পৌঁছলেও তা পরিণতি পায়নি। পরে মির্চা দেশে ফিরে এই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি উপন্যাস লেখেন। মৈত্রেয়ী দেবীও লেখেন ‘ন হন্যতে’ নামে উপন্যাসটি। ১৯৮৬ সালে মির্চার এবং ১৯৯০-এ মৈত্রেয়ী দেবীর মৃত্যু হলেও রয়ে গিয়েছে
দেশ ও সংস্কৃতির বেড়া ভাঙা এই ভালবাসার কাহিনী।

মিহেলা জানালেন, তাঁর দেশের বেশির ভাগ মানুষ ভারত বলতে মির্চা-মৈত্রেয়ীর কথাই বোঝেন। তাই মির্চার দর্শন ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে এ দিন উঠে আসে মৈত্রেয়ী দেবীর প্রসঙ্গও। এ দিনের আলোচনায় নিউ আলিপুর কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষকদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছিলেন আশেপাশের কয়েকটি কলেজের পড়ুয়া, শিক্ষকেরাও। দর্শন নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মির্চা
এবং মৈত্রেয়ীর ভালবাসাকে রোমানিয়ায় কী চোখে দেখা হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তাঁরা।

Advertisement

নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানালেন, কিছু দিন আগে তিনি এক আলোচনাসভায় অংশ নিতে রোমে গিয়েছিলেন। সেখানেই আলাপ মিহেলার সঙ্গে। তাঁকে ভারতে আসতে বলায় রাজি হয়ে যান মিহেলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement