বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনে মালা দিতে গিয়ে বাধার মুখে বিমান-সেলিমরা, অভিযুক্ত শাসকদল তৃণমূল। নিজস্ব চিত্র।
মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণদিবসে বেলেঘাটার গান্ধীভবনে তাঁর মূর্তিতে মালা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন বামফ্রন্টের নেতারা। বামেদের অভিযোগ, সোমবার সকালে গান্ধীমূর্তিতে মালা দিতে গেলে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে এক প্রকার জোর করেই তাঁরা গান্ধীর প্রস্তরমূর্তিতে মালা পরিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। বাম নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাই তাঁদের মালা দিতে বাধা দেন, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
সোমবার গান্ধীভবনে গান্ধীমূর্তিতে মালা গিতে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ বামফ্রন্টের অন্যান্য নেতারা। গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা গান্ধীর প্রয়াণদিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বেলেঘাটার গান্ধীভবনে যান। সেই মতো এ বারও তাঁদের কর্মসূচি আগে থেকেই স্থির করা হয়েছিল। বাম নেতাদের আরও দাবি, এই কর্মসূচির আগাম তাঁরা জানিয়েছিলেন পুলিশ-প্রশাসনকেও। তা সত্ত্বেও শাসকদলের কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল বলেও তাঁদের অভিযোগ। সেলিমের অভিযোগ, ৩০ জানুয়ারি গান্ধীভবনে মালা দিতে আসা বামফ্রন্টের ঘোষিত কর্মসূচি। সেই মতোই সোমবার সকাল ১১টা নাগাগ তাঁরা গান্ধীমূর্তিতে মালা দিতে আসেন। কিন্তু শাসকদলের কর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। তাঁরা আগাম অনুমতি নিয়ে রাখলেও কেন তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন করার পরেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। শেষমেশ জোর করেই গান্ধীমূর্তিতে মালা দেন বাম নেতারা।
এই প্রসঙ্গে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কারণ আমি এখন বাইরে আছি। তাই এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।”