—প্রতীকী ছবি।
কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে বাসে উঠেছিলেন এক ব্যক্তি। বসার জায়গা না পাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাস ছাড়ার পরেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায় দুই মহিলা। কিছুক্ষণ পরে ওই ব্যক্তি খেয়াল করেন, ব্যাগে থাকা কিছু কাগজ পড়ে রয়েছে তাঁর পায়ের কাছে। সন্দেহ হওয়ায় কাগজগুলি তোলার পরেই তাঁর চোখ যায় ব্যাগের দিকে। তিনি দেখেন, সেখানে থাকা কয়েক লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা নেই। উধাও ওই দুই মহিলা যাত্রীও।
এমন ভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হেস্টিংস থানার দ্বারস্থ হয়েছেন পীযূষ পাল নামে ওই বাসযাত্রী। তাঁর দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে এসএসকেএম হাসপাতাল এবং পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের (পিটিএস) মধ্যে। তদন্তকারীরা জানান, পীযূষ কলকাতার একটি গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং বিপণির কর্মী। গয়না নিয়ে ডোমজুড়ে নিজের কারখানায় যাচ্ছিলেন তিনি। লালবাজার জানিয়েছে, তদন্তে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে পীযূষকেও।
পুলিশ জানায়, পীযূষ আগে মুম্বইয়ে সোনার কাজ করতেন। পাঁচ বছর ধরে ডোমজুড়ে কারখানা চালাচ্ছেন। ওই গয়না সংস্থার দাবি, পীযূষ বুধবার বিকেলে তাদের থেকে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার কাঁচা সোনা নিয়ে ডোমজুড় যাচ্ছিলেন। সেখানে তা থেকে গয়না তৈরি করে ফের সংস্থায় ফিরিয়ে দিতেন। পীযূষ জানান, তিনি এসএসকেএমের সামনে থেকে বাস ধরেন। কিন্তু মাঝপথেই বুঝতে পারেন, তাঁর ব্যাগ থেকে কেউ ওই সোনা তুলে নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, বাসে করে পীযূষ প্রথমে এক্সাইড মোড়ে নামেন। সেখান থেকেই ডোমজুড়ের বাস ছাড়ে। কিন্তু তিনি কেন ফাঁকা বাস না ধরে এসএসকেএম পর্যন্ত গিয়ে ভিড় বাস ধরলেন, তার যুক্তিগ্রাহ্য উত্তর দিতে পারেননি।
লালবাজার সূত্রে খবর, পুজোর আগে শহরে মহিলা কেপমারের সন্ধান মিলেছিল। তারা দক্ষিণ ভারত থেকে এসে অপরাধ করেছিল। সুবেশ ওই মহিলারা অন্যমনস্কতার সুযোগে কাজ হাসিল করত। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে কি না, তা জানতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে পুলিশ।