সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে এবিপি ওয়েডিংস-এর বিশ্বস্ততা
প্রত্যেকের জীবনেই বিয়ের সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা জীবনে এই মহেন্দ্রক্ষণ একবারই আসে। বিশেষত বাঙালি বিয়ের কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে জাঁকজমকপূর্ণ এক আয়োজনের ছবি। বিগত কয়েক বছরে সেই বিয়ের ছবিটা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে এবিপি ওয়েডিংস। নেপথ্যে সংস্থার সিইও ললিত মাস্তার ক্ষুরধার বুদ্ধি, এবং সঠিক পরিকল্পনা। ঠিক কী ভাবে বাঙালি বিয়ের খোলনলচে বদলে দিয়েছে এবিপি ওয়েডিংস?
ললিত মাস্তার কথায় প্রথমেই উঠে এল আনন্দবাজার পত্রিকার পাত্র-পাত্রীর কথা। সকালে চায়ের কাপের সঙ্গে আনন্দবাজারে খবর পড়া — এই ছবি যেন প্রত্যেক বাঙালি বাড়িতে চিরন্তন। আনন্দবাজারের সঙ্গেই সপ্তাহে একদিন থাকতো পাত্র-পাত্রী সাপ্লিমেন্টটি। বলা হয়, কলকাতার হেন কোনও বাঙালি নেই যিনি এই পত্রিকার কথা জানেন না। আজ থেকে প্রায় ৪০-৫০ বছর আগেও মানুষ খবরের কাগজেই খোঁজ করতেন নিজের পছন্দের সঙ্গী বা সঙ্গীনিকে। বিগত এক থেকে দেড় দশকে সেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। খবরের কাগজের বদলে ফোনই এখন সহায় নতুন প্রজন্মের।
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের যুগে, মুঠোফোনের যুগে খবরের কাগজের পাশাপাশি কোনও অ্যাপ থাকবে না, তা কখনও হয়! ইচ্ছে ছিল প্রত্যেকের পথ চলার সঙ্গী হতে হওয়ার। খবরের কাগজ নিয়ে তো রাস্তা-ঘাটে সবসময় বয়ে বেড়ানো যায় না! তার উপরে অ্যাপ থেকে যখন খুশি তখন আপডেট দেখে নেওয়া যায়। ব্যবহারেও সহজ এবং সময়োপযুগীও। এই সব কিছুকে মাথায় রেখেই ২০১৬ সালে শুরু হয় এবিপি ওয়েডিংসের পথ চলা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গিয়েছে বিয়ের ধরন। আরও আধুনিক, আরও রঙিন হয়েছে বিয়ের উৎসব। বাঙালির সেই উৎসবকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবিপি ওয়েডিংস।
ললিত মাস্তা জানান, “প্রথম যখন শুরু হয়, বাজারে তখন এবিপি ওয়েডিংস ছিল চার নম্বরে। আমাদের কাছে তখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এটির ইউনিক সেলিং পয়েন্ট বের করে। অর্থাৎ অন্যান্য ম্যাট্রিমনি সাইটের থেকে এবিপি ওয়েডিংস কেন আলাদা? সেই সময় বাজারের প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটে নকল প্রোফাইলের অত্যন্ত বাড়বড়ন্ত ছিল। যা নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছিলেন বহু মানুষ। আমরা সেই সমস্যাটিকে চিহ্নিত করি এবং ঠিক সেই সময়েই আমরা ফটো আইডি প্রুফ এবং কেওয়াইসি-র বিষয়টি নিয়ে আসি। অর্থাৎ ফটো আইডি প্রুফ ছাড়া কোনও ব্যক্তি প্রোফাইল খুলতে পারবেন না। অন্য কোনও সাইটে এই ধরনের সুবিধা ছিল না। যা খুব সহজেই এবিপি ওয়েডিংসের জনপ্রিয়তাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বর্তমানে আমরাই এক নম্বর বাঙালি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইট।”
কোভিড আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। যখন অন্যান্য বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি লোকসানের মুখ দেখেছে, তখন ম্যাট্রিমনি ওয়েবসাইটগুলিকে তেমন কোনও লোকসানের মুখে পড়তে হয়নি। যা সত্য়িই আমাদের কাছে অত্যন্ত সৌভাগ্যের। এর পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। ললিত মাস্তা জানালেন, কোভিডের সময় ঘরে থাকার ফলে মানুষ অনেক বেশি পরিমাণে ওয়েবসাইট ব্যবহার করেছে। মানুষের কাছে অঢেল সময় ছিল। ফলে এনগেজমেন্ট রেট অনেকটা বেড়েছে। অনেক বেশি যোগাযোগ করা সম্ভব। যা আখেরে লাভের মুখ দেখিয়েছে এবিপি ওয়েডিংসকে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? উত্তরে ললিত মাস্তা জানালেন, বর্তমানে এবিপি ওয়েডিংস এক নম্বর বাঙালি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট। আমাদের লক্ষ্য এর পরিধি, এর ব্যপ্তি আরও বাড়ানো। আগামীদিনে সারা বিশ্বের দরবারে একমাত্র বাঙালি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের পাশাপাশি বিয়ের সমস্ত আয়োজনের সঙ্গী তথা বিয়ের সমস্ত সলিউশন প্রোভাইডার হিসেবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলবে এবিপি ওয়েডিংস।
এই প্রতিবেদনটি এবিপি ওয়েডিংস এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।