—প্রতীকী ছবি।
কলকাতা পুলিশের অধীনে আসতে চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এবং কাশীপুর থানার প্রায় ২১০ বর্গকিলোমিটার এলাকা। কলকাতা শহরের মতো ওই এলাকাও সিসি ক্যামেরার নজরদারির অধীনে আনতে চায় লালবাজার। কিন্তু পুরোপুরি গ্রামীণ এলাকা হওয়ায় সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগের অভাব হতে পারে। এমনকি, ক্যামেরার সংযোগের তার বসানোর জন্য খুঁটি পাওয়াও দুষ্কর হতে পারে। সেই সব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ভাঙড়ের প্রত্যন্ত এলাকায় নজরদারির জন্য সৌর ক্যামেরা বসাতে চাইছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের খবর, সৌর ক্যামেরা হবে তারবিহীন। অর্থাৎ ক্যামেরার জন্য বিদ্যুৎ, তারের সংযোগ— কোনও কিছুরই প্রয়োজন হবে না। ক্যামেরায় থাকা একটি সিমের মাধ্যমে সার্ভারের নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। সরাসরি ছবি দেখার পাশাপাশি, ওই ক্যামেরার ছবি সংরক্ষণও করা যাবে। প্রয়োজনে সৌর ক্যামেরার ফুটেজও পুলিশ দেখতে পাবে। তবে লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, পুরোটাই এখনও পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। ভাঙড় যে হেতু গ্রামীণ এলাকা, তাই শহরের মতো ক্যামেরা বসানোর পরিকাঠামো মিলবে না ধরে নিয়েই এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রথম দফায় ৪০টি সৌর ক্যামেরা সেখানে বসানো হতে পারে। উল্লেখ্য, কলকাতায় বর্তমানে কয়েক হাজার সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকলেও কোথাও সৌর ক্যামেরা নেই। তাই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভাঙড়েই প্রথম চালু হবে সৌর এবং তারবিহীন ক্যামেরার নজরদারি।
প্রসঙ্গত, সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই ভাঙড় ও কাশীপুরের আটটি থানা নিয়ে চালু হয়ে যাবে কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশন। সব রকম ছাড়পত্র চলে এলেও পরিকাঠামো তৈরি না হওয়ায় ওই এলাকা এখনও লালবাজারের অধীনে আসেনি। তবে কলকাতা পুলিশের অধীনে তা চলে এলে যাতে পুলিশের কোনও রকম অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রায় এক হাজার ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করেছে লালবাজার। নির্ভয়া প্রকল্পের অধীনে ওই ক্যামেরা বসানো হবে পুলিশকর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই এক হাজারের মধ্যে প্রায় ৬৫০টি ক্যামেরা বসানোর জায়গা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সেখানকার স্কুল-কলেজ, ধর্মীয় স্থান, বাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়। ইতিমধ্যেই বাসন্তী হাইওয়ের একাংশে ১০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে, যা যান নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হবে।