লালবাজার। —ফাইল চিত্র।
বর্তমানে মহিলা পুলিশকর্মীর ঘাটতি রয়েছে শহরের বিভিন্ন থানায়। আর জি কর হাসপাতালে এক পড়ুয়া-চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের পরে সর্বস্তরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের হাতিয়ার হতে চলেছেন সদ্য নিযুক্ত হওয়া ৮০০ মহিলা কনস্টেবল। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরে সামনের মাসেই কাজে যোগ দেবেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন থানায় মোতায়েন করা হতে পারে তাঁদের। তাই সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে মহিলা পুলিশকর্মীদের ডিউটি করার বা থাকার কেমন ব্যবস্থা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, থানাগুলিতে মহিলা পুলিশকর্মীদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট ব্যারাক আছে কিনা, থাকলে সেখানে কত জন মহিলা পুলিশকর্মী থাকতে পারবেন— লালবাজারের তরফে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, মহিলা ব্যারাক না থাকলে নতুন করে থানা চত্বরে তা করা সম্ভব কিনা, তা-ও জানতে চেয়েছে লালবাজারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ। চলতি সপ্তাহেই সব কিছু প্রস্তাব আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এক পুলিশকর্তা জানান, কলকাতা পুলিশের সব থানাতেই কম-বেশি মহিলা পুলিশকর্মী রয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগ থানাতেই তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ব্যারাক নেই। মহিলা পুলিশকর্মীদের থাকা বা বিশ্রামের জন্যও যাতে ব্যারাক করা হয়, সেই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মার্চে কলকাতা পুলিশে ২২০০ কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৮০০ জন মহিলা। সেই ৮০০ জনের মধ্যে ৩৫০ মহিলা কনস্টেবলের প্রশিক্ষণ বর্তমানে চলছে কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। বাকিদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে হাওড়ার ডোমজুড়ে, কলকাতা পুলিশ ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে। আগামী মাসে ওই পুলিশকর্মীদের ছ’মাসের প্রশিক্ষণ-পর্ব শেষ হবে। তার পরেই থানা-সহ বিভিন্ন ইউনিটে তাঁদের পোস্টিং দেওয়া হতে পারে।