প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুম শেষ হতেই শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ফের স্বয়ংক্রিয় ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাই পুরোপুরি চালু করার নির্দেশ দিল লালবাজার। গত শনিবার ওইনির্দেশ পাঠানো হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে। তাতে বলা হয়েছে, পুলিশ কমিশনার চান, শহরের ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা ফের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলুক। তবে প্রয়োজন মনে করলে, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তা পুলিশকর্মীদের মাধ্যমে‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতেও চালানো যাবে। সে ক্ষেত্রে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে তা জানিয়ে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে দিনে কত ক্ষণ ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সিগন্যাল চলছে, তার হিসাব রাখতে হবে এবং প্রতিদিন সেই রিপোর্ট পাঠাতে হবে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের ১৫ জন ভিভিআইপি-র যাতায়াতের সময়েও ট্র্যাফিক গার্ডগুলিসিগন্যাল ব্যবস্থা ম্যানুয়াল করে নিতে পারবে বলে জানানো হয়েছে। সেই ১৫ জনের নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে শীর্ষ কর্তাদের তরফে। ওই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, ডিজিপি, হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি, মুখ্যসচিব, বিরোধী দলনেতার নাম রয়েছে। যাঁদের যাতায়াতের সময়ে, প্রয়োজন মনে করলে, সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় থেকে ম্যানুয়াল করা যাবে। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা ফের চালু হলেও মিছিল-সমাবেশ কিংবা অন্য কোনও কারণে যানবাহনের গতি স্তব্ধ হয়ে গেলে বিশেষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন ট্র্যাফিক গার্ডের ওসিরা। কিন্তু সে খবর ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমকে জানিয়ে দিতে হবে।
ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, সিগন্যাল ব্যবস্থাকে এক সূত্রে বাঁধার জন্যই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়। এই ব্যবস্থায় প্রতিটি সিগন্যালের মধ্যে যোগসূত্র থাকে। ফলে, একটি মোড়ে সিগন্যাল সবুজ থাকলে পরবর্তী কয়েকটি মোড়েও তা সবুজ রাখার চেষ্টা করা হয়। তাই খুব সহজেই বিনা বাধায় যাতায়াত করা যায় কম সময়ে। একাধিক পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, ওই ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে শহরের রাস্তায় যানবাহনের গতি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেন এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে?
পুলিশ সূত্রের খবর, চলতি বছরের গোড়ার দিকে শহরের সব রাস্তাতেই স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শহরে উৎসবের মরসুম চলেছে। তাই ওই সময়ে শহর জুড়ে বিভিন্ন রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে হয়েছে পুলিশকর্মীদের। সেই কারণে শহরে যান চলাচলের গতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় রাখার বদলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যান নিয়ন্ত্রণ করেছে।