ফাইল চিত্র।
আর কিছু দিনের মধ্যেই চালু হতে চলেছে ট্র্যাফিক মামলা সংক্রান্ত ‘ই-কোর্ট’। ওই ব্যবস্থা চালু হলে ট্র্যাফিকের বিভিন্ন মামলার জরিমানা সরাসরি অ্যাপের মাধ্যমেই জমা দেওয়া যাবে। তার জন্য আর আদালতে ছুটতে হবে না। ওই ই-আদালতের সঙ্গেই চালু হবে এনআইসি ই-চালান। যাতে দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনলাইনে ট্র্যাফিক পুলিশ আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
লালবাজার জানিয়েছে, ই-কোর্ট এবং এনআইসি ই-চালান চালু হলে পুলিশকর্মীদেরও অনেক সুবিধা হবে। যেমন, কোনও গাড়িচালক দেশের অন্য কোথাও ট্র্যাফিক আইন ভেঙেছেন কি না, সহজেই তা জানা যাবে। এর পাশাপাশি, অ্যাপের মাধ্যমে জরিমানার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় যে কোনও সময়ে, যে কোনও জায়গা থেকেই তা দেওয়া যাবে।
অন্য দিকে, এ বার থেকে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময়ে ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার ফলে পুলিশ ধরলে ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ির অন্যান্য নথি ট্র্যাফিক পুলিশ অফিসারকে দেখালেই চলবে। লালবাজার জানিয়েছে, ওই ডিজিটাল লাইসেন্স বা নথি যাতে অফিসারেরা দেখেন, তার জন্য নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তবে পুলিশ ‘ডিজি লকার’ বা ‘এম পরিবহণ’ অ্যাপে থাকা ওই সমস্ত ডিজিটাল নথি এখনই বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে অবশ্য আগেই এই ডিজিটাল নথি প্রামাণ্য হিসাবে গৃহীত হয়েছে।
এত দিন ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার পরে ওই ডিজিটাল নথি দেখালেও রেহাই মিলত না। সম্প্রতি রাজ্য পরিবহণ দফতর এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করে। তার পরেই লালবাজার ওই ডিজিটাল নথিকে প্রামাণ্য হিসাবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেয় অফিসারদের। এর ফলে এখন পুলিশকে কাগুজে নথির বদলে অ্যাপে থাকা ডিজিটাল নথি দেখালেই চলবে। তাই গাড়ির নথি কিংবা ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখাটা আর বাধ্যতামূলক রইল না। সাধারণ মানুষ চাইলেই অ্যাপের মধ্যে ওই সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি রেখে দিতে পারবেন।
এক পুলিশকর্তা অবশ্য জানান, ডিজিটাল নথি প্রামাণ্য হিসাবে গ্রহণ করতে বলা হলেও আপাতত কিছু দিন ট্র্যাফিক আইন ভাঙার ক্ষেত্রে আসল নথি বাজেয়াপ্ত করার নিয়মই চালু থাকছে। কিন্তু ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করা যাবে না কেন? সূত্রের খবর, ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করার জন্য এনআইসি ই-চালান চালু করা প্ৰয়োজন। যা বর্তমানে পরীক্ষামূলক ভাবে চলছে। ওই ই-চালান চালু হলেই অ্যাপে থাকা ডিজিটাল নথি প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করতে পারবেন অফিসারেরা। ই-কোর্ট চালু হলেই ই-চালান পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে।
এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ড্রাইভিং লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত যে সব ক্ষেত্রে করতেই হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। কিছু ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হয়। তবে লালবাজারের নির্দেশ, আপাতত বাজেয়াপ্ত করা যাবে না বলে ডিজিটাল নথি প্রামাণ্য হিসাবে দেখা হবে না, এমনটা যেন না হয়।’’