ফাইল চিত্র।
পুলিশি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে জাতীয় স্তরে রয়েছে ‘বুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’। এ বার নিজেদের কাজে উন্নতি ঘটাতে নিজস্ব গবেষণা শাখা খুলেছে লালবাজার। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সাইবার অপরাধ দমন এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থা কী ভাবে আরও উন্নত করা যায়, সে ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। ওই শাখার আধিকারিকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকেও বসেছেন।
লালবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি ওই গবেষণা ও উন্নয়ন শাখা গঠন করা হয়েছে। যার মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সংগঠন)। তাঁর অধীনে রয়েছেন সাইবার অপরাধ দমন এবং ওয়্যারলেস শাখার দুই ডেপুটি কমিশনার। এ ছাড়াও আছেন চার জন ইনস্পেক্টর এবং এক জন করে সার্জেন্ট ও সাব-ইনস্পেক্টর। এর পাশাপাশি, প্রয়োজন হলে ওই শাখা বাহিনী থেকে অন্য সদস্যদেরও প্রতিনিধি হিসেবে নিতে পারবে।
কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী, কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন শাখায় কাজ করতে গিয়ে কী কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তা চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে নিযুক্ত প্রতিনিধিরা। সেই সঙ্গে শহরের অপরাধ দমন এবং অপরাধের তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকেও নজর রাখবেন তাঁরা। বর্তমানে সাইবার অপরাধ ঠেকানো পুলিশের কাছে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। মানুষকে সর্বস্বান্ত করার নিত্যনতুন উপায় খুঁজে বার করছে সাইবার অপরাধীরা। তাদের ঠেকাতে কী কী করা যায়, সেই বিষয়টিও ওই শাখাকে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।
এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সব চেয়ে বেশি ওয়াকিবহাল কমিশনার স্বয়ং। তাই ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নতি কী ভাবে করা যায়, সে ব্যাপারেও ওই শাখাকে গবেষণা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশের দৈনন্দিন কাজকর্মে কী কী ঘাটতি থাকছে, সেগুলি চিহ্নিত করে তা দূর করার সম্ভাব্য পন্থাও বার করবে নতুন ওই শাখা। লালবাজার জানিয়েছে, গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রতিনিধিরা কমিউনিটি পুলিশ বা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর মতো কলকাতা পুলিশের যে সমস্ত বিশেষ বাহিনী রয়েছে, তাদের উন্নতিকল্পেও কাজ করবেন।
পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘নতুন ওই শাখা অত্যাধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে পুলিশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কাজ করবে। এ ছাড়া, জাতীয় স্তরে থাকা ‘বুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ বা ‘বিপিআরডি’র সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলবে তারা। প্রয়োজন মনে করলে পুলিশের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের বিষয়েও প্রস্তাব দিতে পারবেন ওই শাখার সদস্যেরা।’’ কলকাতার কোনও থানায় কোনও ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হলে সেই নথি যাতে ‘ডিজিটাইজ়’ করা হয়,ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তাব দিয়েছে ওই শাখা। যাতে কর্তারা সহজেই সেই সমস্ত নথি দেখে নিতে পারেন। এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে অভিযোগকারীও জানতে পারবেন, তাঁর অভিযোগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লালবাজারের কর্তাদের একাংশের মতে, বাহিনীকে দক্ষ এবং সমর্থ করে তুলতেই ওই শাখা গঠন করা হয়েছে। ।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।