সুমন কুমারী। —নিজস্ব চিত্র।
শহরের রাস্তায় আন্তর্জাতিক স্তরের এক মহিলা বক্সারকে নিগ্রহের সময়ে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীর ভূমিকা কী ছিল, তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিল লালবাজার।
ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) সন্তোষ পাণ্ডেকে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার ভিত্তিতে ওই পুলিশকর্মীকে লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, বক্সারকে যখন নিগ্রহ করা হচ্ছে তখন কেন তিনি সাহায্যে এগিয়ে এলেন না, তা জানতে চাওয়া হবে ওই পুলিশকর্মীর কাছে। তিনি কেন মহিলাকে থানায় যেতে পরামর্শ দিলেন, তা-ও জানতে চাওয়া হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কর্মী সাউথ ওয়েস্ট ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত। শুক্রবার ঘটনার সময়ে তিনি দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকার রিমাউন্ট রোড এবং বিকে রোডের সংযোগস্থলে ডিউটি দিচ্ছিলেন। প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া-ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থার ঘটনায় পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তার পরেই লালবাজার পুলিশকর্মীদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর তৈরি করে। অভিযোগ, ওই পুলিশকর্মী তা লঙ্ঘন করেছেন।
শুক্রবার ওই মহিলা বক্সার স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। রিমাউন্ট রোড এবং বিকে রোডের মোড় থেকে এক যুবক বাসে উঠতে গিয়ে তাঁর স্কুটিতে বাধা পান। তখন ওই
মহিলাকে গালিগালাজ করেন যুবক। অভিযোগ, পরে তাঁকে মারধর করে গলা টিপে ধরেন যুবক। সঙ্গে যোগ দেন আরও দু’জন। মহিলার দাবি, ঘটনাস্থলের কয়েক মিটার দূরে এক পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে থাকলেও তিনি কোনও সাহায্য করেননি।
ওই রাতেই তিন অভিযুক্তকে ধরা হয়। সরকারি কৌঁসুলি সৌরীন ঘোষাল জানান, ধৃতদের শনিবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে তিন জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজত হয়। অন্য দিকে, অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া এবং অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দির আবেদনও আদালত
মেনে নিয়েছে।
লালবাজার সূত্রের খবর, শুক্রবার অভিযোগ দায়েরের দু’ঘণ্টার মধ্যেই তিন যুবককে গ্রেফতার করায় বাহিনীর প্রশংসা করেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। একই সঙ্গে তিনি তদন্তকারীদের পুরস্কৃত করতে ডেপুটি কমিশনারকে (বন্দর) নির্দেশ দিয়েছেন।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।